বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

শ্রমিক সংকট: মির্জাপুরে জনপ্রতি হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাচ্ছেন না কৃষক

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০২০, ১১:৫৫ এএম

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে জনপ্রতি ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা মজুরি দিয়েও ধানকাটা শ্রমিক পাচ্ছেন না কৃষক।গত কয়েক দিন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি আর ঢলে নীচু জমির ধান পানিতে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এতে কয়েক হাজার কৃষক ঘরে ধান তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ফলে ধানকাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন তারা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে।শুরু থেকে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। বিগত বছর রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগজ্ঞ, বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবছর আসতে না পারায় শ্রমিক সংকটে পড়েছেন তারা।
স্থানীয় প্রশাসন দাবি ঈদের আগে নানা উপায়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক নিয়ে আসা হয়েছিল।এতে আবাদের অর্ধেক জমির ধানকাটা হয়েছে।কিন্ত ঈদের বন্ধে শ্রমিকরা বাড়ি চলে যাওয়ায় বর্তমানে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।তবে তাদের পুনরায় নিয়ে আসতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার মশিউর রহমান জানিয়েছেন।
মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক শামসুল আলম জানান, তিনি আড়াইশ শতাংশ জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও ভাল হয়েছে।ইতিমধ্যে কিছু জমির ধান কাটা হয়েছে।গত কয়েক দিনের ঝড় ও বৃষ্টিতে তার নীচু জমির ধান ডুবে যাচ্ছে।বর্তমানে জনপ্রতি এক হাজার থেকে এগারো টাকা দিয়েও শ্রমিক পাচ্ছেন না তিনি।একই কথা জানান, গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও চাঁন মিয়াও।পাকা ধান জমিতে থাকায় তারা দুঃচিন্তায় দিনপাত করছেন বলে জানান।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল মালেক শ্রমিক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, সংকট কাটাতে প্রশাসনিক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে এ উপজেলায় ছোট বড় পনেরটি হারবেস্টার মেশিন ধানকাটার কাজ করছে। অচিরেই শ্রমিক সংকট কেটে যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন