চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে আসা পাঁচজন রোগীর এমন মৃত্যুর ঘটনা দুঃখজনক। ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। গত বুধবার রাতে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনা চিকিৎসার জন্য তৈরি অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে অগ্নিকান্ডে পাঁচজন করোনা রোগী মারা যান। গতকার বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আমি খোঁজখবর নিয়েছি। রোগীর স্বজন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিজে কথা বলেছি। পরিদর্শন করলাম। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র, ফায়ার ডিসটিংগুইশার ও সিলিন্ডার যেগুলো পাওয় গেছে তার অধিকাংশগুলোই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ। মেয়র বলেন, ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। তদন্তে কাজ করছে গুলশান থানা পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস থেকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, মানুষ হাসপাতালে আসে অসুস্থতা নিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য কিন্তু এখানে যেভাবে আগুন লেগে পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হলো, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর দায় কোনোভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। তদন্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার কামরুল আহসান জানান, ইউনাইটেড হাসপাতালের মূল ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে অগ্নিকান্ডের খবরে গত বুধবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট সেখানে পাঠানো হয়। রাত ১০টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, এসির বিস্ফোরণের কারণেই আগুন লেগেছে। আগুনে পুরো আইসোলেশন ইউনিটি পুড়ে গেছে যদিও মূল ভবন অক্ষত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন