করোনা উপসর্গ নিয়ে রাউজানের আরও দু’জন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দিবাগত রাতে তাদের মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন গহিরা ইউনিয়নের দলইনগর গ্রামে, আরেকজন চট্টগ্রাম নগরীর হামজারবাগ এলাকায় মারা যান। তবে দু’জনেরই শুক্রবার (২৯ মে) সকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন হয় নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে।
ছেলের মৃত্যুর তিনদিনের ব্যবধানে করোনা উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার পর মারা যান গহিরা ইউনিয়নের দলইনগর গ্রামের পোতন মিস্ত্রির বাড়ি নুর মিয়া (৬৮)।
এলাকার নাছির উদ্দিন নামের একজন জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ক্বওমিদের গঠিত দাফন-গোসল কাজে নিয়োজিত একটি টিম তার দাফন কার্য সম্পাদন করেন।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান নুর মিয়ার ছেলে মো. আরাফাত হোসেন (৩৩)। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে নগরীর হামজারবাগ এলাকায় মারা গেছেন রাউজান পৌরসভা ৮নং ওয়ার্ডের আনছার আলী গোমস্তার মোহাম্মদ নাছের (৫১)। শুক্রবার সকালে রাউজানের গ্রামের বাড়িতে তার দাফন কার্য সম্পাদন করেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ রাউজান’র একটি স্বেচ্ছাসেবক টিম।
এ কাজে অংশগ্রহণকারী উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আহসান হাবিব চৌধুরী হাসান বলেন, ‘নাছেরের দাফন, জানাজা কাজে এলাকার কেউ এগিয়ে না আসায়, আমি জানাজার ইমামতি করি এবং আমাদের সংগঠনের বেশকিছু নেতাকর্মী দাফনের সব কাজ সম্পন্ন করে।’
এর আগে গত (২৫ মে) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামের নগরীতে থাকা রাউজানের মুহাম্মদ শহিদুল হক মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৬২)। তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান। একইদিন সকালে তার গ্রামের বাড়ী চিকদাইরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন সম্পাদন করা হয়। এছাড়াও নগরীতে থাকা বিনাজুরী ইউনিয়নে প্রথম একজন করোনায় মারা যান।
প্রসঙ্গত, রাউজানে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ জন। এরমধ্যে আক্রান্ত উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহছেনুল হায়দার বাবুলসহ বেশ কয়েকজনের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানাগেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন