শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

যবিপ্রবিতে পাট শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে সভা

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যশোর ব্যুরো ঃ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যবিপ্রবি’র রিসার্চ সেলের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের গ্যালারীতে “বাংলাদেশর পাট ও পাট শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুস সাত্তার। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ হলো কৃষিনির্ভর দেশ। কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন ছাড়া সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব নয়। এসকল চিন্তা-ভাবনাকে মাথায় রেখে এগ্রো প্রডাক্ট এন্ড প্রসেসিং টেকনোলজি ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রডাকশন এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এর মত বিভাগ খোলা হয়েছে যবিপ্রবিতে। পাটশিল্প তথা কৃষিভিত্তিক সকল পণ্যকে ভ্যালু এ্যাডেড পণ্যে রূপান্তরিত করা এবং কৃষিভিত্তিক প্রযুক্তির উন্নয়নে এই সকল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকদেরকে তাদের গবেষণার উপর জোর দিতে বলেন।
মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের পরিচালক (গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণ) বাবুল চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাটি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানের পাট চাষের জন্য উপযোগী। কিন্তু বরাবরই এই শিল্প অবহেলিত ছিল। বর্তমানে যেখানে বেসরকারী পাটকলগুলো মুনাফা করছে সেখানে আমাদের সরকারী পাটকলগুলো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তার কারণ হিসেবে তিনি উচ্চমূল্যে পাট ক্রয়, অধিক মজুরী ব্যয়, অতিরিক্ত রূপান্তরিত ব্যয় এবং নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পাট ক্রয় করতে না পারাকে দায়ী করেন। তিনি আরো বলেন, পাটশিল্পে একটি বড় সমস্যা হল এ শিল্প নিয়ে বাংলাদেশে কম গবেষণা হয়। পাট শিল্পের গবেষণার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি মনে করেন। পাট শিল্পের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, পাট খাতের একটি বড় অংশ উন্নত প্রযুক্তির আওতায় ভ্যালু এ্যাডেড প্রোডাক্ট উৎপাদন ও রফতানি করার সক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতের চেহারা পাল্টে যাবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. কে. এম দেলোয়ার হোসেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন