নাতীকে আম দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বরিশালের গৌরনদীতে অপর নাতীর লাঠির আঘাতে নানী জরিনা বেগম (৬৫) খুন হয়েছে।। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বড়দুলালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, উপজেলার বড়দুলালী গ্রামের সাহেব আলী বেপারীর বিধবা স্ত্রী জরিনা বেগমের ৬ কন্যা সন্তান রয়েছে। বিধবা জরিনা তার ছোট মেয়ে লাইজু বেগমকে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে ঘরজামাই রাখেন। জরিনার ছোট মেয়ে লাইজু বেগম বাবার বাড়ির গাছের আম পাড়ে গতকাল সোমবার সকালে খালাতো ভাই’র মেয়ে ইয়ামিন খানমকে (১৩) দেয়। বিষয়টি লাইজুর সহোদর বোন ফাতেমা বেগম জানতে পেরে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টার দিকে বাবার বাড়ি এসে তাকে (ফাতেমা) কেন ভাগের আম দেয়া হলো না বোন লাইজুর কাছে জিজ্ঞাসা করেন। এ নিয়ে তখন ফাতেমা ও তার ছেলে বাচ্চু বেপারীর সাথে লাইজুর বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । এ সময় বাচ্চু বেপারী লাঠি দিয়ে খালা লাইজু বেগমকে আঘাতের চেষ্টা করে। এ সময় নাতী বাচ্চুর লাঠির আঘাতে সংঘর্ষ থামাতে আসা নানী জরিনা বেগম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি গোলাম ছরোয়ার জানান, আম দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে বাচ্চু বেপারীর সাথে লাইজুর বাকবিতন্ডা বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । এ সময় সংঘর্ষ থামাতে এসে ধাক্কায় বিধবা জরিনা বেগম মাটিতে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। তখন ফাতেমা বেগম ও তার ছেলে বাচ্চু বেপারী ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে জরিনার লাশ উদ্ধার করে ও বিজ্ঞাসাবাদের জন্য লাইজুকে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে, খবর পেয়ে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আঃ রব হাওলাদার রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন