হুহু করে বাড়ছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্য। আক্রান্তের তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন না কেউ। রয়েছেন পুলিশ, শিক্ষক, শ্রমিকলীগ নেতাসহ মোট ১৯ জন। এরমধ্যে আনোয়ারা থানার রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারি পুলিশ পরির্দশক (এএসআই) মো. আবদুল কাইয়ূম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার (২ জুন) সকালে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত বুধবার (২৭ মে) উপজেলার ১৫ জনের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ফৌজদার হাট হাসপাতালে পাঠালে রোববার রাতে ৯ জনের করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে রয়েছেন এ পুলিশ সদস্যও। করোনা আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্য রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-সহকারি পুলিশ পরির্দশক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত। তিনি দক্ষিণ বন্দর কান্তির হাট এলাকার ভাড়া বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, করোনা নমুনা সংগ্রহ করার পর থেকে সে স্ত্রী-সন্তান থেকে আলাদা হয়ে একটি ভাড়া বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। রিপোর্টে পজিটিভ আসলে আজ তার স্ত্রী ও সন্তানের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে সে সুস্থ রয়েছে বলেও আমাদের জানায়। তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক তাঁর খোঁজ খবর নিচ্ছেন। নমুনা সংগ্রহের পর থেকে সে আলাদা বাসায় থাকায় থানা বা বাসা লকডাউন করা হচ্ছে না।
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন জানান, বর্তমানে আনোয়ারা উপজেলায় ১৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে রোববার রাতে ৯ জনের পুলিশ সদস্য ও বারশতের বখতিয়াপাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসার এক শিক্ষকসহ ৯ জনের পজিটিভ আসে। তবে তাদের মধ্যে একজন কর্ণফুলী উপজেলার দক্ষিণ শাহমীরপুর এলাকার রয়েছে। শিক্ষকের শারীরিক অবস্থা ভালো হওয়ায় তিনি শহরে নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে। তিনি আরো জানান, চাতরী এলাকার যে ব্যক্তি আজ সোমবার মারা গেছেন উনার নমুনা গতকাল পাঠানো হলেও এখনো রিপোর্ট আসেনি। আসলে জানা যাবে উনি পজিটিভ নাকি নেগেটিভ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন