করোনাভাইরাসের কারণে একেক দেশ একেক ভাবে লকডাউন দিয়ে রেখেছে। কোনো দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে লকডাউন বলা না হলেও ‘ছুটি; দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো দেশে লকডাউন নিয়ে এতটাই কড়াকড়ি করা হচ্ছে যে কেউ বাসা থেকে বের হলেই মুখোমুখি হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। বের হওয়ার পাশাপাশি এক সঙ্গে অনেক জন মিলে ভিড়ভাট্টা করলে তো হয়েছেই। পুলিশের খাতায় নাম উঠে যাচ্ছে।
প্যারাগুয়ে আছে দ্বিতীয় দলে। প্রচন্ডভাবে কড়াকড়ি করে লকডাউন মানা হচ্ছে দেশটিতে। কয়েকজনকে একসঙ্গে দেখলেই ব্যস, ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। আর সেই সমস্যাতেই পড়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় সার্জিও দিয়াজ। বন্ধুদের সঙ্গে জমায়েত হয়ে ভলিবল খেলছিলেন ২০১৭ সালে প্যারাগুয়ের মূল দলে অভিষেক হওয়া দিয়াজ। জাতীয় দলের হয়ে ঐ একটি ম্যাচ খেলা ফুটবলারের কাজটি স্বাভাবিকভাবেই পছন্দ হয়নি আশেপাশে থাকা মানুষজনের। ফলে অভিযোগ চলে গিয়েছে পুলিশের কাছে। পুলিশও এসে সবাইকে আটক করে নিয়ে গেছে। বাদ পড়েননি দিয়াজও। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জেলেও যেতে পারেন এই খেলোয়াড়।
লকডাউনের কারণে খেলাধূলা সব বন্ধ, দিয়াজও আটকা পরে আছেন প্যারাগুয়েতেই। সেখানেই বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ভলিবল খেলতে গিয়ে নিজের জন্য ডেকে আনলেন বিপত্তি। সতীর্থ সেবাস্তিয়ান ফেরেইরার বাড়িতে সেদিন অভিযান চালায় পুলিশ। অন্যান্য সবার সঙ্গে আটক হন দিয়াজও। পুলিশের কাছে অভিযোগ এসেছে, গত মার্চ থেকেই ফেরেইরার বাসায় নিয়মিত পার্টি হচ্ছে। হচ্ছে খেলাধুলা।
পুলিশ প্রসিকিউটর লরা রোমেরো জানিয়েছেন, ‘অভিযোগের সপক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি আমরা। যেমন ভলিবল নেট, বল, একগাদা বিয়ারের বোতল। আমরা নিশ্চিত করতে পারি কয়েক ডজন বিয়ারের বোতল ছিল। ছিল কিছু ক্রীড়াসামগ্রী ও জুতা। গোটা মাঠেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এগুলো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন