সামাজিক দুরত্ব মেনে চলাচলের ওপর বিধিনিষেধের মাঝে নরসুন্দরের কাছে চুল কাটানোয় নেই কোনো আপত্তি, তবে মাস্ক না পরাতেই যত বিপত্তি। এই স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের জেডন স্যানচো ও মানুয়েল আকানিকে জরিমানা করেছে জার্মান ফুটবল লিগ (ডিএফএল)।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে অনেক নিয়মের ঘেরাটোপে গত ১৬ মে শুরু হয়েছে বুন্ডেসলিগা। সম্প্রতি লিগ কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম ভেঙেছিলেন এই দুজন। জরিমানার পরিমাণ অবশ্য জানানো হয়নি।
দারুণ পারফরম্যান্সে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসা স্যানচো ও সুইস ডিফেন্ডার আকানিসহ ডর্টমুন্ডের মোট ছয় জন ফুটবলার নরসুন্দর ডেকে এনে চুল কাটান। এরপর তাদের কয়েক জনের সঙ্গে ছবি তোলার অনুরোধ জানান ওই নরসুন্দর।
স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ করে গণমাধ্যমের শিরোনাম হন ২০ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড স্যানচো। এজন্য অবশ্য কোনো শাস্তি পেতে হবে না তাকে। কারণ জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আগেই বলা হয়েছে, জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় প্রতিবাদ জানাতে বাধা নেই ফুটবলারদের।
ছবি প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার কারণেই মূলত ফেঁসেছেন সানচো আর আকাঞ্জি। না হয় জার্মান দৈনিক বিল্ডের খবর, শুধু এ দুজনই নন, চুল কেটেছেন লেফটব্যাক রাফায়েল গেরেরো, ডিফেন্ডার ড্যান-অ্যাক্সেল জাগাদু, উইঙ্গার থরগান হ্যাজার্ড ও মিডফিল্ডার অ্যাক্সেল উইটসেলও। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ না থাকার কারণে বেঁচে গেছেন তারা। ছয়জন মিলে জার্মানির বিখ্যাত নরসুন্দর উইনি নানা কারকারির কাছে চুল কাটিয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। ডর্টমুন্ড নিজেও জানিয়েছে, মাস্ক পরে যদি খেলোয়াড়েরা সেবা নিতেন, তাহলে হয়তো এ সমস্যাটা হত না। কিন্তু নরসুন্দর উইনি কারকারি জানিয়েছেন, কাজের সময় সবার মুখে মাস্ক পরাই ছিল। শুধু ছবি তোলার সময়ে মাস্ক খুলে পোজ দিয়েছে তারা। গোটা ব্যাপারটাই এদিকে হাস্যকর লাগছে উইঙ্গার জাডন সানচোর কাছে। লিগ কর্তৃপক্ষের ওপর একটু খেপেও গেছেন তিনি। টুইটারে মাথা নাড়ার ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, ‘ডিএফএল কর্তৃপক্ষ আসলেই একটা ভাঁড়!’ তবে আশার কথা, শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য পাঁচ দিন সময় পাচ্ছেন সানচো-আকাঞ্জি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন