স্পোর্টস ডেস্ক : কিছু পরিসংখ্যান... টানা ৬ টেস্টে পঞ্চাশের কোটায় নিজের ইনিংস নিয়ে যেতে ব্যর্থ ইউনিস খান, এই সিরিজে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট জুটির গড় ১৮.৫০, নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৫৬৫) রানের তাড়া করে বেড়ানো, ম্যানচেস্টাওে টেস্টের সবচেয়ে খরুচে বোলার ইয়াসির শাহ, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ৪র্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ৪০২, প্রয়া ৪শ’ (৩৯১) রানের অধিক সংগ্রহ পেয়েও প্রতিপক্ষকে ফলোঅন করায়নি ইংল্যান্ড- ১৯৩০ সালের পর যা দ্বিতীয়বার, টেস্টে অ্যান্ডারসনের ২৯০ উইকেটের মাইলফলক, ছাড়িয়ে গেছেন অস্ট্রেলিয়ান পেস কিংবদন্তি গেøন ম্যাকগ্রাকে- এর একটিও যদি পাকিস্তানের পক্ষে যেতো তাহলে হয়তো দুঃখ পেতে পারতো পাকিস্তান। কিন্তু লর্ডস টেস্টে রাজসিক জয়ের পর ম্যানচেস্টারে একদিন হাতে রেখে ৩৩০ রানের বড় হারের পর কোন অজুহাত কি দিতে পারে মিসবাহ বাহিনী? বরং উল্টোটাই বলা যায় ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের জন্য, লর্ডসের স্বপ্ন ভঙ্গ হলো ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।
দিনজুড়ে ম্যানচেস্টারে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। মাঠের ক্রিকেটে বোলারদের দাপটে ইংল্যান্ডের বিশাল লিড। ৫ বোলারকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোলিং করিয়ে ক্লান্তি এড়ানোর সুযোগ। তার পরও পাকিস্তানকে ফলো অন করালেন না অ্যালেস্টার কুক! ইংলিশ অধিনায়কের সিদ্ধান্তে ওঠা প্রশ্নগুলি বাড়িয়ে দিল বৃষ্টি। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পরপরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ঘণ্টা খানেক। পরে আরেক দফা বৃষ্টি। বৃষ্টির ছোবলে ইংল্যান্ড খেলতে পারল ৩০ ওভার। তাতেই তুলেছে ১ উইকেটে ১৭৩। প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রানের লিড মিলিয়ে কুকের দল ইনিংস ঘোষনা কওে ৫৬৫ রানে এগিয়ে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মত হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইনআপ, ৭০.৪ ওভার ব্যাট করে ২৩৪। ইংল্যান্ড জেতে ৩৩০ রানে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন