রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড ও স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী গতকাল ১-১ গোলের সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। গতকালের এই ম্যাচটিতে উভয় দল আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ করে খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে ছিল স্বাগতিক দলের প্রাধান্য। এই অর্ধে তারা সমতাসূচক গোলও আদায় করে নিয়েছে। আবাহনী লিমিটেডের পক্ষে গোল করেন বিদেশি ফরোয়ার্ড সানডে। আর স্বাগতিক দলের হয়ে গোল করে ম্যাচে সমতা আনেন বদলি ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। ফলাফল ড্র হলেও বেশ উপভোগ্য ম্যাচটি। চট্টগ্রামের দর্শকরা প্রাণবন্ত এই ম্যাচ দেখে তৃপ্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
চট্টগ্রাম আবাহনী শুরুতেই আক্রমণে যায়। ১০ মিনিটেই গোলের সহজ সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ডি-বক্সে অনেকটা ফাঁকায় বল পেয়েও মিডফিল্ডার সোহেল রানা ক্রসবারের ওপর দিয়ে মারেন। ৩৫ মিনিটে বিদেশি ফরোয়ার্ড সানডের দেয়া গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী লিমিটেড ১-০। ডিফেন্ডার মামুন মিয়া ডি-বক্সে লব করলে সানডে দর্শনীয় হেডে দলকে আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন। গোল হজম করার পর মরিয়া হয়ে উঠে চট্টগ্রাম আবাহনী। ৪০ মিনিটে গোলের সুযোগও তৈরী করে তারা। মিডফিল্ডার জাহিদের কর্নার কিকে গোলমুখে হেড করেন ডিফেন্ডার রেজা। অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটেই আবারও আক্রমণে যায় চট্টগ্রামের স্থানীয় দলটি। মামুনের বাড়ানো ক্রসে হেড করেন বিদেশি ফরোয়ার্ড লিওনেল। সেটি কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন আবাহনী লিমেটেডের গোলরক্ষক সোহেল। মধ্য বিরতির পর আক্রমণ আরো শাণিত করে চট্টগ্রাম আবাহনী। একের পর এক আক্রমণে গেলেও ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে কাংখিত গোল পাচ্ছিলো না তারা। তবে ৭৭ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি পেয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী ১-১। অধিনায়ক মামুনুল ডানপ্রান্ত থেকে কর্নার করেন। ডি-বক্সে বল পেয়ে কোনো ভুল করেননি বদলি ফরোয়ার্ড রুবেল মিয়া। প্লেসিং শটে বল জালে জড়ান তিনি। ম্যাচে সমতা আসার পর ৮৩ ও ৮৭ মিনিটে দুটি আক্রমণ করে ঢাকা আবাহনী। লী এন্ড্রোর কর্নার সানডের শট সরাসরি গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়। এরপর আরো একটি আক্রমণ থেকে ডি-বক্সের অদূরে ফ্রি-কিক পায় আবাহনী লিমিটেড। সানডের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকটি গোলরক্ষক রানা গ্রিপে নিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন