ঢাকার ফুটবলের ট্রিপল হ্যাটট্রিকম্যান হাজী মো.ওয়াহিদুজ্জামান ময়না’র মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এনেছে রাজধানীর আরামবাগ এলাকায়। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ময়না ছিলেন আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সদস্য। ফুটবল খেলা ছেড়ে নিজের প্রিয় ক্লাবে সংগঠক হিসেবেই কাজ করছিলেন। সামাজিক অনেক কাজের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন ময়না। তিনি দীর্ঘদিন ছিলেন আরামবাগ ঝিলপাড় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি। নিয়মিত এলাকার বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে জড়িয়ে রাখতেন। তার শূণ্যতায় গভীরভাবে শোকাহত এলাকাবাসী।
আরামবাগের স্থায়ী বাসিন্দা, সাবেক ফুটবলার ওয়াহিদুজ্জামান ময়না ১২ জুন (শুক্রবার) ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক কন্যা, দুই পুত্র সন্তান সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও আতœীয়-স্বজন রেখে যান। শুক্রবার বাদ জুম্মা আরামবাগ ঝিলপাড় জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে আজিমপুর গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ফুটবলার ময়নার ঢাকার ফুটবলে আছে অনন্য এক রেকর্ড। ঢাকার ফুটবলে তিনিই একমাত্র ট্রিপল হ্যাটট্রিকম্যান- তথ্যটি নিশ্চিত করেন তারই সঙ্গে খেলা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে আউটার স্টেডিয়ামের ২নং মাঠে দ্বিতীয় বিভাগ লিগের ম্যাচে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ৯-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ স্পোর্টিং ক্লাবকে। ৯ গোলের সবগুলোই করেছিলেন ওয়াহিদুজ্জামান ময়না। আমি নিশ্চিত করেই বলছি ঢাকার ফুটবলে আর কোন ফুটবলার এক ম্যাচে ৯ গোল করতে পারেননি। আমি নিজেও ওই ম্যাচে খেলেছিলাম। আমরা এক সঙ্গে ১২ বছরের মতো খেলেছি। ময়না পরে বিআরটিসিতে চাকরি নিয়ে ওই ক্লাবে চলে গেলে আমি আরামবাগ ক্রীড়া সংঘেই নিজে জড়িয়ে রাখি।’
সাবেক এই ফুটবলারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। এছাড়া শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশন, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ, ঢাকা মেরিনার ইয়াং ক্লাব, ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন