শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মুখ থুবড়ে পড়েছে ধান সংগ্রহ অভিযান

বাগমারায় খাদ্য গুদামে আসতে কৃষকের অনীহা

বাগমারা (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

রাজশাহীর বাগমারায় চলতি বোর মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে। গত মে মাসের ১২ তারিখ থেকে ধান, চাল, গম সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও কৃষকরা খাদ্য গুদামে আসছে না ধান দিতে। ফলে এবার বেকায়দায় পড়েছেন খাদ্য বিভাগের লোকজন। খাদ্য বিভাগের স্থানীয় কর্মকর্তারা লটারীতে বাছাইকৃত কৃষকদের তথ্য সংগ্রহ করে সরকারি খাদ্য গুদামে ধান নিয়ে আসার জন্য বার বার অনুরোধেও এ বছর সাড়া দিচ্ছেন না কৃষকরা। যদিও এই অভিযান চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। বাগমারায় এবার ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ১শ’ ৩৭ মে. টন। এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে প্রায় মাত্র ১৩ টন।
জানা যায়, খোলা বাজারে এবার ধানের দাম বেশি। ফলে চাষিরা গুদামে আর ধান দিচ্ছেন না। করোনা পরিস্থিতিতে চালের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়েছে। চাল সরবরাহে মিল মালিকরা সরকারি প্রণোদনা পাচ্ছেন। তাই মিল মালিকরা বাজার থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করছেন। এ কারণে বেড়ে গেছে বোরো ধানের দাম। তাই চাষিরা খাদ্য গুদামে ধান না দিয়ে বাজারে বিক্রি করছে। যে কারণে খাদ্য বিভাগের বোরো ধান সংগ্রহ অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর বোরো ফলন ভালো হওয়ায় দ্বিগুণ লক্ষ্যমাত্রা ধারণ করা হয়েছিল এবং মোটামুটি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিতও হয়েছে। তারপরও সরকারি খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে এবার কৃষক বা চাষিরা তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। স্থানীয় খাদ্য বিভাগের কর্তকর্তারা বলছেন, চাষিরা সরকারিভাবে ধান বিক্রি করছে না। আর চাষীরা বলছেন, এ বছর বাজারে ধানের দাম সরকারি দামের তুলনায় সামান্য কিছু কম। আবার সরকারি খাদ্য গুদামে ধান দিতে গেলে কৃষরা পড়েন নানা বিড়ম্বনায়। তাই দাম কিছু কম হলেও চাষিরা গুদামে ধান না দিয়ে বাজারেই বিক্রি করছে।
বাগমারার গনিপুরের কৃষক আব্দুল আহাদ জানান, কয়েক বছর ধরে গুদামে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম এতো বেশি ছিল ফলে প্রকৃত চাষীরা কেউ ধান দিতে পারেনি। বিড়ম্বনার শিকার চাষীরা এই মৌসুমে আর গুদামমুখী হচ্ছেন না।
বাগমারার খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভবানীগঞ্জ এলএসডি আব্দুর রাজ্জাক জানান, আমরা লটারীতে বাছাইকৃত কৃষকদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে তাদেরকে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে ধান সরবরাহের জন্য বলা হলেও কৃষকরা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। দেখা যায় ধান ব্যবসায়ীরা কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান সংগ্রহ করছে। এতে কৃষক পরিবহন খরচ ও আর্দ্রতা যাচাইয়ের হয়রানির হাত থেকে বাঁচার জন্যই তারা গুদামমুখী হচ্ছে না। তারপরও ধীর গতিতে হলেও ধান সংগ্রহ অভিযান চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন