অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশে হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের এক বিশাল বাজার রয়েছে। এই বাজারের পরিধিও দিন দিন বাড়ছে। আগে এই খাতটি ছিল সম্পূর্ণ আমদানিনির্ভর। কিন্তু, এখন দেশেই বিশ্বমানের হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস তৈরি করছে ওয়ালটন। আরো পণ্য উৎপাদনে চলছে ব্যাপক বিনিয়োগ ও প্রস্তুতি। এসব পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের প্রত্যয় নিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো ওয়ালটন প্লাজা হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স ডিস্ট্রিবিউটর কনফারেন্স-২০১৬। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত কনফারেন্সের উদ্বোধন করেন ওয়ালটন গ্রæপের চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রেজভী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শামসুল আলম, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন গ্রæপের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, নির্বাহী পরিচালক ও বিপণন বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক ইভা রেজওয়ানা, সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর লে. কর্ণেল (অব.) আব্দুল কাদের, ওয়ালটন মাইক্রো-টেক করপোরেশনের এইচআরএম এন্ড এডমিন প্রধান কর্ণেল (অবঃ) শাহদাত আলম, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
কনফারেন্সে উল্লিখিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা নেয়া হয়। পণ্য উৎপাদন এবং বিপণনকে প্রাধান্য দেয়া হয়। এতে জানানো হয়, এরই মধ্যে ওয়ালটন মাইক্রোটেক কর্পোরেশনে ৯ ধরনের হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি হচ্ছে। আরো বেশকিছু হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরির পরিকল্পনায় রয়েছে। ব্যাপক সম্ভাবনাময় এই খাতের সিংহভাগ বাজার দখলে প্রস্তুতিও নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সৃজনশীল মেধা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের উপর জোর দেয়া হয়। সেই সঙ্গে দ্রæত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবার বিষয়টিতেও গুরুত্ব দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৮ লাখ বর্গফুট জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত ওয়ালটন মাইক্রোটেক কর্পোরেশনে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে যে, প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে জার্মানি, জাপান, তাইওয়ানের মতো উন্নত দেশগুলো থেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ এনে হোম ও ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস তৈরি করছে ওয়ালটন। গড়ে তোলা হয়েছে একদল উচ্চ শিক্ষিত, মেধাবি, দক্ষ ও পরিশ্রমী প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। যারা প্রতিনিয়ত গবেষণার মাধ্যমে দেশেই উৎপাদন করছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত আমদানি বিকল্প প্রযুক্তি পণ্য। মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করা হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইলেক্ট্রো টেকনিক্যাল কমিশন (আইইসি)-এর স্ট্যান্ডার্ড। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এসকল প্রযুক্তি পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে বিধায় মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করা হচ্ছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি। উন্নত মান এবং দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় ওয়ালটনের এসকল পণ্য ইতোমধ্যে গ্রাহকদের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৩০০০ আউটলেটে পাওয়া যাচ্ছে ওয়ালটনের হোম ও ইলেক্ট্রিক্যালর এ্যাপ্লায়েন্স। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এসব পণ্যের প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে দেশব্যাপী পরিবেশক নিয়োগ প্রক্রিয়াও চলছে বলে জানানো হয় কনফারেন্সে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন