দেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের লাশ নিয়ে আসা হয়েছে সিলেটে তার নিজ বাসায়। সাড়ে ১২ টায় লাশবাহী এম্বুলেন্সটি প্রবেশ করে কামরানের ছড়ারপারস্থ বাসায়। এম্বুলেন্সটি প্রবেশের সাথে সাথেই শুরু হয় মাতম। চোখের অশু ধারার বৃষ্টিতে ভেজে যায় মুর্হুতেই কামরানের বাড়ি। দলীয় নেতাকর্মী ও প্রতিবেশীদের চোখে মুখে কান্না আর কান্না। স্মৃতি আকাশে কেবল কামরানই। চারদিকে শোকের মাতম, আহাজারি আর চোখের জল। কামরানের সুগন্ধা ৬৫ বাড়িটি আজ গভীর শোকে স্তব্ধ। গোছল সহ আনুষ্টানিক কার্যাধি সম্পন্ন চলছে। এরপর লাশ নেয়া হবে ছড়ারপার জামে মসজিদে। সেখানে তাঁর প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জানাজা শেষে লাশ নিয়ে যাওয়া হবে নগরীর মানিকপীরের টিলায়। সেখানে আরেক দফা জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে দাফন করা হবে তাকে। রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। গত ৫ জুন সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ আসে সাবেক এ মেয়রের শরীরে। ওই দিন বাসায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও পরদিন ৬ জুন সকালে বমি আর জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি । তবে বমি ও জ্বর কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছিল না অবস্থার। কিন্তু পরিস্থিতি সংকটাপন্ন হওয়ায় গত ৭ জুন রবিবার সন্ধ্যায় তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন