জার্মানির স্টুটগার্ট শহরে হঠাৎই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে। লুটপাট করা হয়েছে অসংখ্য দোকানপাট, হামলা হয়েছে পুলিশের ওপর। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে অন্তত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলাকারীদের আঘাতে আহত হয়েছেন কয়েক ডজন পুলিশ কর্মকর্তা। জানা যায়, রোববার মধ্যরাতে শ্লসপ্লেৎস স্কয়ার এলাকায় মাদক পরীক্ষা করছিল পুলিশ। এসময় বেশ কয়েকটি গ্রুপ জড়ো হয়ে পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়ায় এবং একপর্যায়ে আক্রমণ করে। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাটি ধীরে ধীরে দাঙ্গায় রূপ নেয়। এতে অংশ নিয়েছিল পাঁচ শতাধিক মানুষ। দাঙ্গাকারীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে আশপাশের দোকানপাটেও হামলা চালায় তারা। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, দৃর্বৃত্তরা দোকানের জানালা ভাঙচুর করছে ও মালামাল লুটপাট করছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই এলাকার একটি জুয়েলারির দোকান সম্প‚র্ণ লুট করা হয়েছে, একটি মোবাইল ফোনের দোকানেও লুটপাট হয়েছে। পরে রাত ৩টার দিকে বাড়তি পুলিশ সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। স্টুটগার্টের মেয়র ফ্রিৎজ কুন এক টুইটে জানিয়েছেন, তিনি এমন সহিংস ঘটনায় বিস্মিত। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র। বাডেন-উটেমবার্গ রাজ্যের প্রধান উইনফ্রায়েড ক্রেশম্যান এ ঘটনাকে ‘নৃশংস সহিংসতা’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমন সন্ত্রসী কর্মকান্ডে জড়িতদের শিগগিরই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর আগে খবরে বলা হয়, শনিবার রাতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর স্টুটগার্টে এই বিশৃঙ্খলা শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সহিংসতায় অন্তত ১৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন এবং ১২ টি পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টুইটারে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, লোকজন শহরের কেন্দ্রস্থলে দোকানপাট ভাঙচুর করছে, পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বড় বড় পাথর ও অন্যান্য ভারি জিনিস ছুড়ে মারছে। বিবিসি জানায়, শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি চত্বরে একশ থেকে ২শ’ মানুষ পুলিশের দিকে পাথর এবং বোতল ছুড়ে মারে। পরে আরো শত শত মানুষ সেখানে জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা শুরু করে। তাদের বেশির ভাগেরই মাথায় হুড এবং মুখে মাস্ক পরা ছিল। বিবিসি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন