জাতীয় ফুটবল দল ও ঢাকা আবাহনী, মোহামেডান এবং ওয়ান্ডারার্সের সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফারের মা রহিমা খাতুন আর নেই। মঙ্গলবার দিবাগত রাত প্রায় দেড়টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান ইন্তেকাল করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮৭ বছর।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে মৃত্যু যেন জেঁকে বসেছে। গেল তিন দিনে দেশের তিন তারকা খেলোয়াড় তাদের স্বজন হারিয়েছেন। তিন জনই ছিলেন জাতীয় দল ও ঢাকা আবাহনীর তারকা খেলোয়াড়। ২২ জুন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর মা ইন্তেকাল করার পরের দিন মারা যান জাতীয় ক্রিকেট দলের আরেক সাবেক অধিনায়ক আকরাম খানের বড় বোন। আর ওইদিনই দিবাগত রাতে ইন্তেকাল করেন জাতীয় দল ও আবাহনীর সাবেক তারকা ফুটবলার আবদুল গাফফারের মা।
দুইদিন আগে বাসায় খাট থেকে পড়ে গিয়েছিলেন গাফফারের বৃদ্ধ মাতা রহিমা খাতুন। তারপরই তাকে নেয়া হয়েছিল রাজধানীর একটি হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে আইসিউতে স্থানান্তর করা হলেও আর বাঁচানো যায়নি। আমেরিকার ফ্লোরিডায় থাকার কারণে মৃত্যুর সময় মায়ের পাশে থাকতে পারেননি গাফফার। আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে আসতে না পেরে আমেরিকা থেকেই সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন মায়ের সুস্থতার জন্য। তবে মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন গাফফার। তথ্যটি গতকাল জানান আরেক সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু। তিনি বলেন, ‘গাফফারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সে ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্ক হয়ে আজ সন্ধ্যায় দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে গাফফারের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। তবে ঢাকায় গাফফারের পরিবারের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তাই বলতে পারছি না লাশ নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত কী?’ মরহুমা রহিমা খাতুনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন, ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন