চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমান হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল হান্নান সোহেল নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার রাত পৌনে ২টায় সাতকানিয়া সদরের দক্ষিণ রূপকানিয়ার কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এই ঘটনা ঘটে। পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ছাড়াও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে।
২২ জুন বারদোনা এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী যুবলীগ কর্মী মোসাদ্দেকুর রহমানকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার ভাই।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর জানান রাত ২টায় সাতকানিয়া সদরে দক্ষিণ রূপকানিয়ার গাজীপাড়ার কুতুবুর দীঘির পাড় এলাকায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের প্রতিরোধের মুখে মাদক ব্যবসায়ী সোহেলের সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে। নিহত সোহেল সাতকানিয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। কিছুদিন আগে তিনি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান। ঈদের পর কারামুক্ত হয়ে সোহেল আবারও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন।
স্থানীয়রা জানান মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের বলি হন মোসাদ্দেক। এ ঘটনার জন্য নিহতের স্বজনরা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল ও তার অনুসারীদের দায়ী করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মোসাদ্দেকুর রহমানের
ভাই ফয়সালুর রহমান চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
স্বজনেরা অভিযোগ করেন, মোসাদ্দেক এলাকায় মাদকবিরোধী কমিটি গঠন করলে স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার ও ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহেল ফুঁসে ওঠে। সেই ক্ষোভ থেকে সোহেল তার বাহিনী নিয়ে মোসাদ্দেক ও তার ভাইয়ের ওপর হামলা করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন