শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চ দুর্ঘটনায় আবারো প্রমানিত “রাখে আল্লাহ মারে কে”

মুন্সিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ২:২৭ পিএম

“রাখে আল্লাহ মারে কে” এ অমোঘ সত্য আবারো প্রতিষ্ঠিত হলো । বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় লঞ্চ দূর্ঘনায় নিমজ্জিত লঞ্চ থেকে ১৩ ঘন্টা পর জীবিত উদ্বার করা হয় সুমন বেপারীকে। আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে অলৌকিক ভাবে সে বেচে যায়। ঢাকার মিডফোট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমন এখন অনেকটা সুস্থ রয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলার টংগীবাড়ী উপজেলার আবদুল্লাহপুর গ্রামের মৃত ফজর বেপারীর পুত্র সুমন বেপারী হতভাগ্য লঞ্চের যাত্রী ছিল। সদরঘাট এলাকায় ফল ব্যবসায়ী সুমন তার বন্ধু মাসুমের সাথে ব্যবসায়ী উদ্দেশ্যে সাকালে ঢাকায় যেতে লঞ্চে উঠে। কেরানীগঞ্জের ফরাশগঞ্জ ঘাট এলাকায় ময়ুরী -২ লঞ্চের ধাক্কায় মনিং বার্ড ল্ঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবন্ত লঞ্চ থেকে একে একে ৩২ টি মৃতদেহ উদ্বার করা হয়। সুমনের আতœীয় স্বজনরা সারাদিন খোজাখুজি করে। পরে রাত ১০টায় দিকে ডুবন্ত লঞ্চটিকে কিছুটা ভাসালে ডুবুরীরা লঞ্চের ভিতর থেকে সুমনকে জীবিত অবস্থায় উদ্বার করে। সুমনের বড় ভাই মোঃ শাহীন জানান, সুমনের সাথে থাকা মাসুম দুর্ঘটনার পরপর লঞ্চের নীচ থেকে উঠে আসে। আতœীয়দের খবর দেয় সুমন তার সাথে ছিল। সম্ববত সে উঠতে পারেনি। এর পর থেকে সুমনের ভাই এবং স্বজনরা ঘটনাস্থলে মৃতদেহ খুজতে থাকে। রাত ১০টার দিকে উদ্বার কর্মীরা লঞ্চের নীচ থেকে একজনকে উদ্বার করে নিয়ে আসলে সে চিনতে পারে এটি তার ভাই সুমন। উদ্বারের পরপর দূত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসায় ঘন্টাখানে পর সুস্থ হয়ে উঠতে থাকে। ডাঃ এসসানুল করীম জানান, লঞ্চ দূর্ঘটনার পর পর লঞ্চের ভিতর কিছু অংশে শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে। সেখানে কেহ থাকলে সে দীর্ঘ সময় বেচে থাকতে পারবে। তবে এ ঘটনা খুবই বিরল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন