ইনকিলাব ডেস্ক ঃ বেসরকারি খাতে দিয়ে দেওয়া অনেক সরকারি বস্ত্রকল বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। বেসরকারিকরণের সময় শর্তসাপেক্ষে বস্ত্রকলগুলো দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক বস্ত্রকলমালিক সেসব শর্ত পরিপালন করতে পারেননি। তাই শর্ত ভঙ্গকারীদের ওইসব কল আবার ফিরিয়ে নেওয়া হবে, বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
বস্ত্র পরিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে গত মঙ্গলবার দুপুরে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ, বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে ওই সব বস্ত্রকল যেসব জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত তা ব্যবসায়ীরা চাইলে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে লিজ দেওয়া হবে।
মির্জা আজম বলেন, বস্ত্রশিল্পে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করছে সরকার।
দেশের প্রতিটি বৃহত্তম জেলায় একটি টেক্সটাইল কলেজ ও একটি ভকেশনাল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সভায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, টেক্সটাইল খাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহসহ অবকাঠামোগত উন্নতি সাধন করতে হবে। তাহলে এ খাতকে ঘিরে যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা অর্জন করতে সরকার সফল হবে।
সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মির্জা আজম বলেন, এ খাতের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সরকার অবগত রয়েছে। সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বস্ত্র ও পোশাক খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টির প্রয়োজনে দেশে বিদ্যমান পাঁচটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তিনটি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং ৪০টি টেক্সটাইল ভকেশনাল ইনস্টিটিউট রয়েছে।
এর মাধ্যমে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সর্বমোট ছয় হাজার ৪৭৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৪২৫ জন বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি, এক হাজার ৭৬ জন টেক্সটাইল ডিপ্লোমা এবং চার হাজার ৯৭৫ জনকে ভকেশনাল সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে চারটি নতুন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ছয়টি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রতিবছর আরও ৯০০ শিক্ষার্থী বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।
সভায় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক ইসমাইল হোসেন, বিটিএমসির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়জিদ সারোয়ারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : দ্য রিপোর্ট
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন