শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

প্রতিপক্ষের গুলিতে জেএসএসের ৬ জন নিহত : আহত ৩

ঘটনাস্থল বান্দরবান

মো. সাদাত উল্লাহ, বান্দরবান থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে জেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপের অস্ত্রধারীদের গুলিতে প্রতিপক্ষ (এমএন লারমা) সংস্কারপন্থীর জেলা সভাপতিসহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বান্দরবানের সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজারের মারমাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।

বান্দরবান জেএসএসের সংস্কারপন্থী (এমএন লারমা) গ্রুপের সদস্যরা জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠে সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে চা-নাস্তা করছিল। এ সময় হঠাৎ করে অস্ত্রধারী ৫-৬ জনের একটি দল অতর্কিত এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পাহাড়ের জঙ্গলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জেএসএস’র সংস্কার গ্রুপের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি প্রজিত চাকমা ও বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা, সদস্য ডেবিড মারমা, মিলন চাকমা, দিপেন ত্রিপুরা, জিতেন ত্রিপুরা। সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা ছাড়া বাকিদের বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলায় বলে জানা যায়। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন বিদুৎ ত্রিপুরা, নিতাই চাকমা ও বাঘমারা পাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা হ্লাওয়াই চিং মারমা। পরে স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে এমএন লারমা গ্রুপের বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক উবামং মারমা জানান, জেলায় সংগঠনের প্রসারের কাজ চালিয়ে নেয়া এবং নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে তুলতে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা একসাথে হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় সন্তু লারমা গ্রুপের ৫/৬ জনের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পাড়ার পূর্বদিকের পাহাড় থেকে নেমে এসে সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যার বাড়িতে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও বান্দরবান সভাপতিসহ দলের ৬ জন নিহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, জেএসএস মূলদলের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সংস্কারপন্থী গ্রুপের ৬ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বান্দরবান পুলিশ সুপার জেরিন আক্তার জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যের একটি দল গিয়েছে। মূলত দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা শুনতে পেয়েছি। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন