বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সিলেটে এডিস মশার উৎসস্থলের সন্ধান : অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা জরিমানা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২০, ৭:৪৪ পিএম

সিলেটে এডিস মশার লার্ভার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি ও সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পন্য রাখার অভিযোগে ৬ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিলেট সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৮৬ হাজার টাকা। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর সিলেট সিটি করপোরেশনের ক্বীন ব্রিজ সংলগ্ন ভার্থখলা এলাকায় সিরামিক ও প্লাস্টিক পন্যের দোকানগুলোতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন সিসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ তৌফিক বকস ও সিসিকের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম। অভিযানে সহায়তা করেন সিলেট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কীট তত্ত্ববীদ মো. নজরুল ইসলাম। এসময় তিনি অভিযুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর খোলা স্থানে রাখা প্লাস্টিক ও সিরামিক পন্যে জমে থাকা পরিস্কার পানিতে অস্থিত্ব পান এডিস মশার লার্ভার। সিসিকের ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান মেসার্স নাজমুল এন্ড ব্রাদার্স-২, ধর স্যানিটারী মার্ট, মেসার্স হিমালয় স্যানেটারী, মেসার্স কয়েছ এন্ড ব্রাদাস সহ ৬টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এডিস মশার লার্ভার জন্য সহায়ক পরিবেশ সৃস্টিতে তাদের অপরাধ এবং সরকারী জায়গায় অবৈধভাবে পন্য রাখার অপরাধও স্বীকার করেন তারা। ভ্রাম্যমান আদালত তাদের বিরোদ্ধে পৃথক পৃথক ৬টি মামলা করেন এবং জরিমানা আদায় করেন ৮৬ হাজার টাকা। এছাড়া সরকারী জায়গা থেকে দ’ুদিনের মধ্যে পন্য সামগ্রী সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। খোলা স্থান থেকে পন্যগুলো অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গুদামজাতের নির্দেশও দেন ভ্রাম্যমান আদালত। নতুন করে সন্ধান পাওয়া এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে ঔষধ স্প্রে করা হয়। একই সময় এলাকায় ফগার মেশিন দ্বারা মশক নিধনের দেয়া হয় ঔষধও।


সিসিকের সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গতবার এসব স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার কারণে এবার সিসিকের পক্ষ থেকে বছরের শুরু থেকেই সচেতনতামুলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। টায়ার টিউব ব্যবসায়ীরা খোলা স্থান থেকে তাদের পন্য সামগ্রী সরিয়ে নিলেও ভার্থখলার প্লাস্টিক ও সিরামিকের ব্যবসায়ীরা কোন পদক্ষেপ নেননি। ফলে ইতিমধ্যেই এ এলাকায় জন্ম হচ্ছে ডঙ্গু মশার।

সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সরকারের যুগ্ম সচিব বিধায়ক রায় চৌধুরী বলেন, নগরবাসিকে ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা করতে বছর ব্যাপি কার্যক্রম চালাচ্ছে সিসিক। ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে নগরজুড়ে। সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরবাসির উদ্দেশ্যে বলেন, এডিস মশার সম্ভাব্য উৎস স্থল পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। কোথাও স্বচ্ছ পানি জমে থাকতে দেবেন না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রার্দুভাব দেখা দিলে নতুন করে স্বাস্থ্য সংকটে পড়বে নগরজীবন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন