করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহার আগে পাঁচ দিন এবং ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত মোট ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। এই নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। গতকাল সচিবালয়ে এমন নির্দেশনার চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তবে তিনি বলেছেন, গণপরিবহন নয়, ঈদের আগে পরে ৯ দিন পণ্যপরিবহন বন্ধ থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঈদের পূর্বে ৫ দিন ও পরের ৩ দিন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কুরবানীর পশুবাহী ট্রাক ব্যতীত সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ থাকবে। সূর্যাস্তের পর সকল প্রকার মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য নৌ-যান সুষ্ঠুভাবে চলাচল করবে। তিনিব বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে কম্প্রোমাইজ নয়। প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আসন্ন ঈদের সময় জনগণের চলাচল সীমাবদ্ধ করতে ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে থেকে ও ঈদের তিন দিন পর পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানের কাছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে চিঠি পাঠানো হয় বলে জানানো হয়। জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ আগস্ট দেশে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে।
তবে পরে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রথমে গণপরিবহন বন্ধের কথা জানালেও পরে পণ্যবাহী যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানান। ঈদুল আজহার আগে গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশনাকে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণপরিবহন নয়, বন্ধ থাকবে পণ্য পরিবহন।
সচিবালয়ে গতকাল ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রতিমন্ত্রী। সভার শুরুতে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। মিটিং করে সেই আলোকেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। পরে তিনি বলেন, শুধু পণ্যপরিবহন বন্ধ থাকবে। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরে তিন দিন পণ্যবাহী যে কোনো ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে। কিন্তু আমাদের গণপরিবহন, গণপরিবহনের একটা অংশ যাত্রীবাহী লঞ্চ বা ফেরি চালু থাকবে। ট্রেন বা বাসও কি চলাচল করবে- এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এটার সমন্বয় করে নেব। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি ট্রেন-বাসও চলবে।
তবে করোনা বিস্তাররোধে সব সরকারি বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদের সরকারি বা ঐচ্ছিক ছুটিতে আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন