হাতিয়া উপজেলার সূর্যমুখী খালে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাহার উদ্দিন (৪২) নামের এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এসময় ২র্যাব সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ ৪ডাকাতকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে আসকার বাজার সংলগ্ন সূর্যমূখী খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত মো বাহার উদ্দিন বুড়িরচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কালিরচর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
আটককৃতরা হচ্ছেন, রাজবাড়ি জেলার কালিয়াকান্দি থানার মো শাহাদাত শেখের ছেলে শান্ত শেখ (২০), হাতিয়া উপজেলার বান্দাখালী গ্রামের বাদশা মাঝির ছেলে ইউছুফ (৩৫), দক্ষিণ শান্তিপুর গ্রামের মৃত মোজাম্মেলে ছেলে আলাউদ্দিন (৪০), চরকয়লাশ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মুরাদ (৩০)।
র্যাব-১১ নারায়নগঞ্জ প্রধান কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, উপজেলার বুড়ির চর ইউনিয়নের সূর্যমূখী খালে একদল ডাকাত মেঘনা নদীতে জেলেদের নৌকায়া ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার ভোরে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষন করে। এ সময় র্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। প্রায় ১০-১৫মিনিট র্যাবের সঙ্গে ডাকাতদের বন্দুক যুদ্ধ চলে। এক পর্যায়ে র্যাবের গুলির মুখে জলদস্যুরা পিছুহটতে বাধ্য হয়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ আহত অবস্থায় ডাকাত সর্দার বাহার ও তার ৪সহযোগিকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। গুলিবিদ্ধ বাহারকে উদ্ধার করে হাতিয়ার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, নিহত ডাকাত সর্দার বাহরের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির ঘটনায় মামলা রয়েছে। আটককৃত ডাকাতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন বলেন, নিহত বাহার ডাকাত মেঘনা নদীর চিহ্নিত জলদস্যুর বাহিনীর প্রধান। বাহার ডাকাত তার সদস্যদের নিয়ে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর এলাকায় মাছ ধরার জেলেদের নৌকাতে ডাকাতি এবং জেলেদের অপহরন করে মুক্তিপন আদায় করতো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন