শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

চাঁদপুরে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে নানান হয়রানি

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : বিকাশ গ্রাহকদের সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন সেবা দেয়ার জন্য চাঁদপুরে একটিমাত্র কাস্টমার কেয়ার থাকলেও সেখানে সেবা দেয়ার পরিবর্তে উল্টো নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সেই সাথে চাঁদপুরে নিয়োগকৃত এজেন্টের মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের নির্ধারিত নিবন্ধন ফরম পূরণ করে একাউন্ট খোলার পরও বিনা নোটিশে হঠাৎ নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া হচ্ছে।
হয়রানি থেকে পরিত্রাণে গ্রাহকরা বিকাশের হেল্প লাইনে (১৬২৪৭) ফোন করেও সমাধান পাচ্ছেন না। ফলে চাঁদপুরে গ্রাহকদের কাছে বিকাশ এখন ‘বিষাদে’ পরিণত হচ্ছে।
চাঁদপুর শহরের হাজী মহসিন রোডে জেলার একমাত্র বিকাশ সেন্টারের ছোট্ট অফিসটিতে উন্নতমানের গ্রাহক সেবা প্রদানের মতো কোনো অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেই। দুটি কম্পিউটারে মাত্র দু’জন বিকাশ প্রতিনিধি কাজ করায় অফিসে আসা গ্রাহকরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গ্রাহক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জেলার শহর ও বিভিন্ন গ্রামাঞ্চল থেকে আসা গ্রাহকদের সাথে ভালো আচরণ করতে অনেকটাই ব্যর্থ হচ্ছে।
সমস্যা নিয়ে আসা গ্রাকদের দাবি কাস্টমার কেয়ারে কেউ সেবা নিতে গেলে আগে জিজ্ঞেস করা হয় হেল্প নাইনে ফোন করেছে কিনা। এছাড়া ওই গ্রাহক বিকাশে লেনদের একটি তথ্য দিতে ব্যর্থ হলেই সাথে সাথে তাকে কুমিল্লা কাস্টমার সেন্টারে চলে যেতে বলা হচ্ছে।
বিকাশের সেবা নিতে আসা ফরিদগঞ্জ উপজেলার সালমা বেগম (৩৫) জানায়, ‘গত এক বছর আগে তিনি বিকাশের নির্ধারিত এজেন্ট থেকে গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম পূরণ করে তার গ্রামীণ নাম্বারটি বিকাশ করেন। সে সময়ে তার ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সংযুক্ত করেছে। গত সপ্তাহে এক আত্মীয় তার বিকাশ একাউন্টে কিছু টাকা পাঠিয়েছিল। ওই টাকা সে স্থানীয় এজেন্টের কাছে উত্তোলন করতে গেলে একাউন্টটি সাসপেন্ড লেখা দেখতে পান। এরপর থেকে তিনি আর তার বিকাশ একান্ট থেকে টাকা উত্তোলন করতে না পারায় কাস্টমার কেয়ারে ছুটে যান। কিন্তু বিকাশ প্রতিনিধি তার কাছে ‘টাকা ক্যাশ আউট, ক্যাশ ইন’ সম্পর্কে সর্বশেষ ৩টি করে ৬টি তথ্য জানতে চান। এতে তার ফোন থেকে আগের সব ম্যাসেজ ডিলিট হয়ে যাওয়ায় সর্বশেষ ক্যাশ আউট তিনি বলতে পারেননি। এই একটি কারণে বিকাশ প্রতিনিধি সোজা কুমিল্লা চলে যেতে বলেন। তিনি ফের ওই প্রতিনিধিকে কোনো প্রশ্ন করলে প্রতিনিধি কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি।
একই অভিযোগ করেছেন শাহতলী বাজার এলাকার আব্দুল মালেক। তিনি জানান, ‘হঠাৎ করেই তার একাউন্টটি সার্ভিস ডাউন দেখাচ্ছিল। এমন অবস্থায় তিনি বিকাশের হেল্প লাইনে (১৬২৪৭) ফোন করলে কাস্টমার কেয়ার থেকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার চাওয়া হয়। তিনি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারটি দিলে ওপাশ থেকে বলা হয় ‘আপনি নাম্বার ভুল বলছেন’। তিনি ঘাবড়ে গিয়ে বলেন, এটাতো আমারই জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার। কেন ভুল হবে! এমন অবস্থায় ওপাশ থেকে কল কেটে দেয়া হয়। পরে তিনি কাস্টমার সেন্টারে এলে সেখান থেকে তাকে কুমিল্লা চলে যেতে বলেন।
কাস্টমার কেয়ার থেকে সেবা বঞ্চিত হওয়া স্থানীয় একজন সংবাদকর্মী জানায়, গত রমজানের শেষদিকে তার বিকাশ একাউন্টে পত্রিকার কিছু বিজ্ঞাপন বিল আসে। তিনি এক বিকাশ এজন্টের কাছে টাকা ক্যাশ আউট করতে চাইলে হঠাৎ করেই একাউন্ট সাসপেন্ড দেখায়। পরে তার বিকাশ একাউন্টে আরো কিছু টাকা ক্যাশ ইন হলেও কিছুতেই তিনি ক্যাশ আউট করতে পারছেন না। কি কারণে তার একাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে জানতে চাইলে ওই বিকাশ প্রতিনিধি তাকে কথা না বাড়িয়ে কুমিল্লা চলে যেতে বলেন।
চাঁদপুরে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার থাকলেও সেখানে এতটুকুন সেবা দিতে পারছেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে টেরিটরি ম্যানাজার বলেন, ‘এখানে এটা জানা সম্ভব না। এটা জানতে হলে আপনাকে কুমিল্লা যেতে হবে।’
এ বিষয়ে বিকাশ চাঁদপুর পরিবেশক মো. লতিফের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এখানে সরাসরি কোম্পানির কোনো প্রতিনিধি নেই।’

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
md kawsar ৭ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:১২ পিএম says : 0
বিকাশ খুলতে কি কি লাগে কিভাবে খুলতে হয়
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন