শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খেলাধুলা

এবার রহমতগঞ্জে আটকালো জামাল

প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রুমু, চট্টগ্রাম ব্যুরো : ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে রুখে দিয়েছে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। বিপিএলের গতকাল দিনের প্রথম ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। ৩ ম্যাচ শেষে উভয় দল ৫ পয়েন্ট। এরমধ্যে রহমতগঞ্জ এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের সঙ্গে ড্র করার পর শেখ রাসেলকে হারিয়ে দেয়। আর শেখ জামাল উদ্বোধনী ম্যাচে আরামবাগের সঙ্গে ড্র করার পর উত্তর বারিধারাকে হারায়।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণে যায় শেখ জামাল। ম্যাচের ৬ মিনিটে তাদের বিদেশি মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডি-বক্সে ঢুকে রহমতগঞ্জের গোলকিপার মাসুমকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন। মিনিট তিনেক পর রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার সোহেল ডি-বক্সে দাঁড়ানো বিদেশি ফরোয়ার্ড জুনাপিওকে পাস দেন। তিনি যে শট নেন তা ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ২৮ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে ঢুকে গোলমুখে মাটি কামড়ানো যে শটটি নেন তা কোনো রকমে পা দিয়ে প্রতিহত করেন গোলকিপার মাসুম। তবে ৩১ মিনিটে গোল পেয়ে যায় শেখ জামাল। মিডফিল্ডার রাকিবের লম্বা থ্রু থেকে ডি-বক্সে বল পান ওয়েটসন। এরপর তিনি রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে প্লেসিং শটে গোল করেন ১-০। ৩ মিনিট পর শেখ জামালের মিডফিল্ডার রাকিবের গোলমুখে শট গোলকিপার মাসুম আবারও পা লাগিয়ে দলকে আরো একটি গোল হজম থেকে রক্ষা করেন। প্রথমার্ধে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি আক্রমণ করলেও ফিনিশিং দুর্বলতার কারণে গোলের দেখা পায়নি রহমতগঞ্জ। উল্টো বিরতির পর শেখ জামালের একের পর এক আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে আর বেশি সময় লাগেনি তাদের। ম্যাচের বয়স যখন ৫৯ মিনিট তখন গোল পরিশোধ করতে সক্ষম হয় রহমতগঞ্জ। ডানপ্রান্ত থেকে বদলি ফরোয়ার্ড তুর্জ ডি-বক্সে মাইনাস করেন। ফাঁকায় দাঁড়ানো ফরোয়ার্ড জুনাপিও বল নিজের আয়ত্বে এনে চমৎকার শটে সমতা আনেন ১-১। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোলের শেষ সুযোগটি এসেছিল শেখ জামালের। কিন্তু ডি-বক্সের সামনে থেকে নেয়া নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকার জোরালো শট গোলকিপার মাসুম ধরে দলকে বিপদমুক্ত করেন।
এদিকে, গতবারের রানার্সআপ বিগ বাজেটের দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র বিপিএলের চট্টগ্রাম ভেন্যু থেকে শূণ্য হাতে ফিরছে। গতকাল তাদের শেষ ম্যাচে হেরেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর কাছে ২-১ গোলে। খেলায় ১-১ গোলে ড্র থাকা অবস্থার অন্তিম মুহুর্তে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিদেশি ফরোয়ার্ড লিওনেল গোল করলে শেখ রাসেলের কপাল পুড়ে। যদিও গোলটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। শেখ রাসেলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, লিওনেল অফসাইডে ছিল। কিন্তু রেফারি তাদের দাবি নাকচ করে গোলের বৈধতা দেন। এদিকে, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ এবং অশোভন আচরণের কারণে খেলার শেষের দিকে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিদেশি কোচ জোজেফ পাবলিককে মাঠ থেকে বের করে দেন রেফারি মিজানুর রহমান।
ম্যাচের শুরুতেই প্রথম আক্রমণ করে শেখ রাসেল। মিডফিল্ডার রাজু ডি-বক্সের সামনে থেকে ফ্রি-কিক নেন। গোলমুখের সামনের জটলা থেকে শেখ রাসেলের কেউ পা লাগাতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের ৩ মিনিটেই গোল পেয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন বিদেশি ফরোয়ার্ড লিওনেল। শেখ রাসেলের গোলকিপার লিটন কোনো রকমে প্রতিহত করলেও ফিরতি বল চমৎকার শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম ১-০। মিনিট সাতেক পর আবারও আক্রমণে যায় আবাহনী। কর্নার কিক করেন অধিনায়ক মামুনুল। ডি-বক্সে জটলায় বল পেয়ে গোলমুখে শট নেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা। কর্নারের বিনিময়ে গোলকিপার লিটন আরো একটি গোল হজমের কবল থেকে দলকে রক্ষা করেন। ৪৪ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলকিপার রানাকে বোকা বানিয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন শেখ রাসেলের মিডফিল্ডার জামাল ১-১। গোলমুখে প্রথমে হেড করেছিলেন শেখ রাসেলের বিদেশি ফরোয়ার্ড ইমিলি। গোলকিপার রানা তা ঠেকিয়ে দিলে ফিরতি বলে প্লেসিং শটে দলকে সমতা এনে দেন জামাল। ম্যাচের ৮৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর বিদেশি ফরোয়ার্ড লিওনেল ২-১।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন