ফুটবল মৌসুম আবার চালু হলেও করোনাভীতি কাটেনি। লকডাউন শিথিল হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, কিংবা এক শহর থেকে অন্য শহরে না যাওয়ার ব্যাপারে বিধিনিষেধ রেখেছে ইউরোপের শহরগুলো। বাদ নেই বার্সেলোনাও। কিন্তু ছুটি পেয়ে সে নিয়মের কথাই মনে থাকল না লিওনেল মেসিদের।
লিগ শেষ হয়েছে। হতাশার এক মৌসুম কাটিয়েছেন বার্সা তারকারা। লিগ শিরোপা নিয়ে উদযাপন করতে দেখেছেন রিয়াল তারকাদের। মাঠ ও মাঠের নানান বিতর্কে জেরবার দল। এর মধ্যেই চিন্তা করতে হচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ নিয়ে। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম লেগে নাপোলির মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে আসা বার্সেলোনা ফিরতি লেগে ক্যাম্প ন্যু তে খেলতে নামবে। তাও সেই আগামী মাসের ৯ তারিখে। তার আগে শিষ্যদের সপ্তাহখানেকের ছুটি দিয়েছেন কোচ কিকে সেতিয়েন। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অনুশীলনে আসতে হবে না মেসি-সুয়ারেজদের। চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করতে হবে, তার আগে কয়েক দিন ছুটি পেলে খেলোয়াড়েরা মানসিক ও শারীরিকভাবে আরও ঝরঝরে হয়ে যাবেন, ছুটি কাটিয়ে নতুন উদ্যম ও ফুরফুরে মেজাজে ফিরে আসবেন, লক্ষ্য এটাই।
একই কাজ করেছেন রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদানও। তিনিও কয়েক দিন ছুটি দিয়েছেন রামোস-বেনজেমাদের। দ্বিতীয় রাউন্ডে রিয়াল মাদ্রিদের প্রতিপক্ষ ম্যানচেস্টার সিটি। এর মধ্যেই প্রথম লেগে হেরে বসে আছে ‘লস ব্ল্যাঙ্কোসরা’।
এদিকে ছুটি পেয়েই ‘কাজে লাগানো’ শুরু করেছেন মেসিরা। পরিবার নিয়ে অনেক তারকা বার্সেলোনা মেট্রোপলিটন অঞ্চলের অনুরোধ অগ্রাহ্য করে শহর ছেড়েছেন। করোনাভাইরাসের কারণে বার্সেলোনা শহরের মানুষদের এখন শহর থেকে বের হওয়া নিষেধ। মেসিদের তা মানতে বয়েই গেছে!
বাধ্যবাধকতা বা লকডাউন যেহেতু নেই, সেহেতু অনুরোধ করার পরেও কেউ যদি মুক্তভাবে চলাচলের অধিকার কাজে লাগান কিছু করার নেই। সে সুযোগই নিয়েছেন বার্সার খেলোয়াড়েরা। মেসি, সুয়ারেজ, জেরার্ড পিকে ও মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন, সবাই করোনা-আশঙ্কা ভুলে শহর ছেড়েছেন। শোনা যাচ্ছে, মেসি ও সুয়ারেজ গিয়েছেন ইবিজায়। ওদিকে অবসরে বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করছেন রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন