কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াইয়ের পানি হু হু করে বাড়ছে। ইতিমধ্যে জেলার কুমারখালী এলাকায় গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙে গেছে। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি। দৌলতপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
আজ বুধবার সকালে মিরপুর উপজেলায় পদ্মা নদীর তালবাড়িয়া পয়েন্টে বন্যা সতর্কতা পূর্বাভাস দেখানো হয়েছে। সেখানে পানির বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। তালবাড়িয়া পয়েন্টে বিকেল ৪টায় পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৭৮ সেন্টিমিটার। সেখানে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা আছে ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। বিপৎসীমার মাত্র দশমিক ২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী পীযূষ কৃষ্ণ কুণ্ডু বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার কুষ্টিয়া অঞ্চলে আগাম পানি বাড়তে শুরু করেছে। সাধারণত যমুনার পানি বাড়লে এই অঞ্চলে পদ্মা ও গড়াইয়ে পানি বাড়তে থাকে। তালবাড়িয়া পয়েন্টে সতর্কতা পূর্বাভাস দেখানো হয়েছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মানচিত্রে দেখা গেছে, হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে আজ পানির উচ্চতা ছিল ১৩ দশমিক ৩৫ সেন্টিমিটার। সেখানে পদ্মায় পানির বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। গড়াই নদের কুমারখালী রেলসেতু পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আজ সেখানে পানির উচ্চতা ছিল ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার। গত বছর জুলাইয়ের চতুর্থ সপ্তাহে পদ্মা ও গড়াইয়ে পানির উচ্চতা কমপক্ষে এক মিটার করে কম ছিল।
পাউবোর কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার কুষ্টিয়া অঞ্চলে আগাম বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিও বাড়ছে আগাম। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে কুমারখালী এলাকায় গ্রামের একটি বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। সেখানে গ্রামবাসীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। এ ছাড়া পদ্মায় শিলাইদহের কোমরকান্দি এলাকায় ফসলি জমি ভেঙে যাচ্ছে। দৌলতপুরের চরাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
দৌলতপুরের রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজ মণ্ডল বলেন, বন্যার পানি প্রতিদিনই বাড়ছে। চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেখানে চাষ করা ফসল কেটে নিচ্ছেন কৃষকেরা। পাটের ক্ষতি হয়েছে বেশি।
কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তা মোড়ে জিকে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গড়াই নদে পানির তীব্র স্রোত। সেখানে চরাঞ্চলের কয়েকটি বাড়ির ভেতর পানি ঢুকেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন