পঞ্চগড় জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতেও মানুষজন মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এ অবস্থায় কোরবানীর পশুর হাটসহ রাজধানী ঢাকা এবং অধিক সংক্রমিত জেলা থেকে মানুষজন ঈদে বাড়ি আসার পর সংক্রমণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে মানুষজন যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সবাই স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে। অধিকাংশ মানুষই মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এ অবস্থায় জেলায় সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান এবং রাত আটটার পর ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ধরণের দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন। সেই সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট ও পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণসহ জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে তথ্য মতে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা পজেটিভ হয়েছে ২৪৫ জন। শনাক্তের দিক দিয়ে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সদর উপজেলা। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে একশ’ জন। এর পরেই রয়েছে দেবীগঞ্জ উপজেলা। এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত শনাক্ত ৫৮ জন। বাকি উপজেলাগুলোর মধ্যে বোদায় ৪৩ জন এবং তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারীতে ২২ জন করে। আর ইতোমধ্যে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৫৬ জন। আইশোলেশনে আছেন আছেন ৮৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন চার জন।
পঞ্চগড়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২ হাজার ৫৮৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করার পর রিপোর্ট পাওয়া গেছে ২ হাজার ৫৪১ জনের। এদের মধ্যে ২৪৫ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে। মারা গেছেন ৪ জন। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ জন এবং পঞ্চগড়ে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎধীন আছেন ২ জন। বাকি ৮১ জন নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন