চরফ্যাশন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলি আকবর ফরাজি বিরুদ্ধে হাজারিগঞ্জ পাঁচকপাট স্লুইসঘাট বাজারের বেড়িবাঁধের ঢালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ অভিযোগ রয়েছে। নিজ ভবনের পরিসর বৃদ্ধি করতে অসহায় হতদরিদ্র পঙ্গু ব্যক্তিকে ঘর ভিটি থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছে। ভুক্তভোগী হাজারিগঞ্জ ইউপি’র ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমির হোসেন খন্দকারের ছেলে পঙ্গু আতিক উল্লাহ খন্দকার (৬৮) এমন অভিযোগ তোলেছেন।
সরেজমিনে পরিদর্শনে তিনি সাংবাদিকদের এমন অভিযোগ করে বলেন, আমি দীর্ঘ ১৩ থেকে ১৪ বছর ধরে এই স্লুইসঘাটের বেড়িবাঁধের ঢালে ছোট্ট একটি দোকান করে পান বিক্রি করে জীবন যাপন করছি। আমার ২ ছেলে ও ৫ মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের বিয়ে দিয়েছি এবং ছেলেরা আলাদা সংসার করছে। আমি বেঁড়িবাধের ঢালে বসবাস করি। খুব কষ্টে খেয়ে না খেয়ে মানবেতন জীবন যাপন করছি। আমাকে উচ্ছেদের পরিকল্পন করছে। আলী আকবর ফরাজি আমার পানের দোকান সংলগ্ন পাকা দ্বিতল ভবন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে বিল্ডিংয়ের ছাদের কার্নিস আমার জায়গার ভেতরে দিয়েছে এবং চলমান বর্ষায় বৃষ্টির পানি আমার দোকানের চালে পড়ছে। আমি বিষয়টি নিয়ে আলী আকবর ফরাজির সাথে কথা বললে তার নেতৃত্বে ৭/৮ জন মিলে আমাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে।
আতিক উল্লাহ খন্দকার আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এখানে থাকতে হলে ১ লাখ টাকা দিয়ে থাকতে হবে’ বলে আলী আকবর ফরাজি টাকা দাবি করেন। বিষয়টি হাজারিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আমি এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসনসহ এমপি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং এর সঠিক বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসীরা সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় আলী আকবর ফরাজির মতো এই ঘাটে ২০ থেকে ২৫টি পাকা ভবন কিভাবে নির্মাণ হয়েছে? প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যদি বাঁধ সংলগ্ন সরকারি জমিতে পাকা ভবন নির্মাণ করতে পাড়ে তাহলে পঙ্গু ও অসহায় আতিক উল্লাহর দোকান কেন উচ্ছেদ হবে?
এই বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর ফরাজী বলেন, আমি ও আতিকুল্লাহ খন্দকার পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমির ওপর ঘর করছি। খন্দকারের সাথে আমার কোন বিরোধ নেই। উপ-বিভাগী প্রকৌশলী (চরফ্যাশন) মিজানুর রহমান বলেন, স্থায়ীভাবে ভবন করার কোন সুযোগ নেই। অস্থায়ীভাবে করলে সেটা আদালা বিষয়। আমরা খুব শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবো।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ডিভিশন-২ নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় কোন পাকা স্থাপনা নির্মাণের বিধান নেই। যদি কেউ নির্মাণ করে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন