রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। শেষ সময়ে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। তবে এসব হাটে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউ। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা নীরব ভূমিকা পালন করায় করোনার সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইছাপুরাসহ বিভিন্ন গরু ছাগলের হাটগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হাটের প্রবেশ পথে স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জাম থাকলেও নেই সাবান ও পানি, এমনকি জীবাণুনাশক স্প্রে দিতেও দেখা যায়নি। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশুর শরীরে হাত বুলাচ্ছে, কেউ দেখছে, কেউ শুধু হাটাচলা করছে। তবে অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। ইমামগঞ্জ হাটে আসা সাঈদ হাসেম, আসলাম শেখ ও মনির ব্যাপারী বলেন, পশুর হাটে গরু-ছাগলের দাম বেশি হলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না কেউই। হাটে কাউকে মনিটরিং করতে দেখা যায়নি। যে কারণে আমরা বেশ আতঙ্ক বোধ করছি।
ইছাপুরা পশুর হাটে আসা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সবকিছু স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে। কেউ তো সামাজিক দূরত্ব মানছে না। অনেকে মুখে মাস্কও ব্যবহার করছেন না। ব্যবসায়ীরাও ক্রেতাদের কিছু বলছেন না। হুড়াহুড়ি করে গা ঘেঁষে পশুর দরদাম করছে।
স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বিষয়ে জানতে ইজারাদাররা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. বদিউজ্জামান বলেন, পশুর হাটের ইজারাদারদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন