প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস যেন জেঁকে বসেছে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে। জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠকদের পর এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে জাতীয় দলের ফুটবলারের উপর। এবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জাতীয় ফুটবল দল এবং বসুন্ধরা কিংসের ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ। শুধু তিনিই নন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বনাথের স্ত্রী’ও। তথ্যটি গতকাল বিশ্বনাথ নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছে বর্তমানে বিশ্বনাথ ও তার স্ত্রী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের বাকি চার ম্যাচের জন্য তিন ধাপে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা ক্যাম্পে উঠবেন। শুরুতে ৩৬ জন খেলোয়াড়কে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও ডিফেন্ডার কাজী তারিক রায়হান ইউরোপে থাকায় আপাতত ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছেন না। আর বসুন্ধরা কিংসের তিন ফুটবলার আতিকুর রহমান ফাহাদ, মাশুক মিয়া জনি ও মতিন মিয়াও ক্যাম্পে যোগ দিচ্ছেন না। চোট কাটিয়ে ক্লাবের সঙ্গেই থাকছেন তারা। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ফুটবলারদের নিজ দায়িত্বে করোনা পরীক্ষা করতে বলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাল প্রথম ধাপে যে ১২ ফুটবলারের ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা ছিল, তাদের মধ্যে বিশ্বনাথও ছিলেন। তিনি ছাড়া বাকি ১১ ফুটবলার কাল সকালে বাফুফে ভবনে আসলে তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজেটিভ রিপোর্ট আসে তিন ফুটবলারের। এরা হলেন- নাজমুল ইসলাম রাসেল, এম এস বাবলু ও মো: সুমন রেজা। বাকি ৮ ফুটবলারের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে কেবল তাদেরকেই নেয়া হয়েছে গাজীপুরস্থ সারা রিসোর্টের ক্যাম্পে।
বিশ্বনাথের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় এই প্রথম জাতীয় দলের কোনো খেলোয়াড় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। বিশ্বনাথ বলেন,‘গত ৩ আগস্ট করোনা টেস্ট করিয়েছিলাম। মঙ্গলবার রাতে রিপোর্ট হাতে পেয়ে জেনেছি আমি এবং আমার স্ত্রী পজিটিভ। তাই জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া হয়নি। যদিও আমার কোনো খারাপ লক্ষণ নেই। এখন পর্যন্ত ভালো আছি। শরীর স্বাভাবিক আছে। ডাক্তার বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।’ তিনি যোগ করেন,‘জাতীয় দলের কোচ জেমি ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনিও বলেছেন বিশ্রামে থাকতে। সুস্থ হওয়ার পর আশা করি ক্যাম্পে যোগ দিব।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন