লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মো. রাকিব (১৮) নামের বাক প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।অভিযোগ উঠেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের বিরুদ্ধ। ওই কিশোরকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছেন বলে দাবী কিশোরের পিতা আব্দুল গনী।
এ ঘটনায় রাকিবের পিতা উপজেলার আলেকজান্ডার এলাকার আব্দুল গণি বাদি হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এতে উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চর আফজল এলাকার মো. ফারুক, আবদুর রহমান, মো. সুজন, আবদুর রব ও আবু তাহেরকে অভিযুক্ত করা হয়।অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাক প্রতিবন্ধী কিশোর রাকিব গত ৩০ জুন সকালে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারে যায়। কিন্তু বাড়িতে না ফেরায় স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করেন। কোনো সন্ধান না পেয়ে তার পিতা ২ জুলাই রামগতি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
এদিকে, সাধারণ ডায়েরি করার পরের দিন বিভিন্ন সূত্রে আব্দুল গণি জানতে পারেন রামগতি-সোনাপুর সড়কের সৈয়দ মৌলভী বাজারের স্যানেটারি ব্যবসায়ী আবু তাহের দোকান ঘরে রাকিবকে মারধর করে আটকে রেখেছেন। এ খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি অভিযুক্তদের পান। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়দের সামনে অভিযুক্তরা রাকিবকে আটক ও মারধরের সত্যতা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে তারা রাকিবের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেটটি গণির হাতে দিয়ে কৌশলে সটকে পড়েন।রাকিবের পিতা আবদুল গনি জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত ফারুক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলে কৌশলে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এতে তার সন্দেহ অভিযুক্তরা রাকিবকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছেন।
তিনি বলেন, এ সন্দেহে অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করে আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তা রেকর্ড হয়নি।পরে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আমি লিখিত অভিযোগ করি।
জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে রামগতি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন,ধারণা করা হচ্ছে ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারসহ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন