রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বেঞ্চ গঠনের অপেক্ষায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় প্রস্তুত পেপারবুক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলের পেপার বুক হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছেছে। মামলাটি শুনানির জন্য এখন প্রস্তুত। গতকাল এ কথা জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এটি শুনানির জন্য বেঞ্চ গঠন করে দেবেন। এরপরই শুরু হবে ডেথ রেফারেন্স এবং দন্ডিতদের আপিল শুনানি।

আদালত সূত্র জানায়, বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দুই মামলার রায়ের ৩৭ হাজার ৩৮৫ পৃষ্ঠার নথি ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টে পাঠানো হয়। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নথি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। নথিগুলো পৌঁছালে হাইকোর্টের ডেসপাস শাখার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক তা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে এই ঘটনার হত্যা মামলার রায় ৩৬৯ পৃষ্ঠা এবং বিস্ফোরক আইনের মামলার রায় ৩৫৬ পৃষ্ঠা। অন্যান্য নথির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ, আসামি পক্ষের সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা, তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে দেয়া সাক্ষীদের জবানবন্দি, যুক্তিতর্ক, আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য, আদালতে দেয়া আসামিদের স্বীকারোক্তি, ট্রাইব্যুনালে দেয়া আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের হাজিরা ও দরখাস্ত রয়েছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার জনসভায় নিহত হন ২৪ জন। আহত হন আরও কয়েকশ’। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় ইতিহাসের ভয়াবহতম নৃশংস ও বর্বরোচিত ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ১৪ বছর ১ মাস ২০ দিন পর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর মামলা দু’টির রায় ঘোষণা হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এ রায় দেন।
বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করে রায় দেন। একই সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান (বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মামলার আসামি) তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয় আরও ১১ জনকে। এ রায়ের বিরুদ্ধে ৪৪টি জেল আপিল করেন আসামিরা। প্রসিকিউশনও ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য আবেদন জানায়। ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ডিভিশন বেঞ্চ উভয় ধরনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন