বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, যিনি শুরুতে একই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন সেই আমির হোসেন বাহারের বিদেশ সফরসঙ্গী কেন বারবার কাতারে অবস্থানরত কোচ নিখিল চন্দ্র ধর? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে ফিরেই আসছে ব্যাডমিন্টনবোদ্ধাদের মনে। বাহার ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বকালে গেল চার বছরে বিভিন্ন দেশে নিজের সফরসঙ্গী করে নিয়ে গেছেন নিখিলকে! অভিযোগ আছে, নিজের দূর্বলতার কারণেই নির্বাহী কমিটির ২৭ সদস্যকে পাস কাটিয়ে ব্যাডমিন্টন এশিয়ায় তৎকালীন রিজিওন্যাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার ও পরে কাতারে কোচ হিসাবে চাকরি করা নিখিলকেই সফরসঙ্গী করতেন বাহার। শুধু তাই নয়, নিখিলকে সঙ্গে নিয়েই ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। যদিও নিখিল বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সদস্য বা কাউন্সিলর নন। এ প্রসঙ্গে আমির হোসেন বাহার বলেন, ‘আমি যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই নিখিলকে পেয়েছি। তাই এখানে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।’
তবে আরো অভিযোগ আছে যে, যখনি বাহার ব্যাডমিন্টন ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ও ব্যাডমিন্টন এশিয়ায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম), সাউথ এশিয়ান রিজিওনাল কমিটির সভা এবং ব্যাডমিন্টন এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা ও সেমিনারে গেছেন, তখনি নিজের অদক্ষতা ঢাকার জন্য পছন্দের ব্যক্তিদের সফরসঙ্গী করেছেন। যারা ফেডারেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। এসব অভিযোগ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের বেশ ক’জন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার। যে কারণে প্রমাণসহ ইতোমধ্যে বাহারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছে জমা পড়েছে।
এছাড়াও বাহার ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ ও বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল টুর্নামেন্টে সম্পাদকের মত গুরুত্বপুর্ণ পদে দায়িত্ব দেন হাফিজুর রহমান মিলন নামের এক ব্যাক্তিকে। যিনি ফেডারেশনের সদস্য কিংবা কাউন্সিলরও না। তার এসব কার্যক্রম ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যদের প্রতি চরম অবজ্ঞা এবং তাদেরকে অযোগ্য হিসাবে প্রতীয়মান করার শামিল বলে মনে করছেন ব্যাডমিন্টন সংগঠকরা। তাদের বক্তব্য, আমির হোসেন বাহার সর্বদা এই কাজগুলো করেছেন তার অযোগ্যতাকে ঢাকার জন্য। তার চার বছরের দায়িত্বকালে দেশের ব্যাডমিন্টর আজ হুমকির মুখে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন