মো: শামসুল আলম খান : চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছে না দেশের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে না পারায় চট্টগ্রাম পর্বের পর ময়মনসিংহের পর্বেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ফেনী সরকার ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছে তাদের। গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে ফেনীর এনটিনি দুয়াম ফ্রাঙ্ক ও চওমিন রাখাইনের দেয়া গোলে পরাজয়ের গøানি নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে। এদিন, ম্যাচের শুরুতেই ছিল রোদের অসহ্য দাপট। তীব্র খরতাপে স্টেডিয়ামের পূর্ব পাশের সাধারণ গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতি ছিল কম। তবে পশ্চিম দিকের ভিআইপি গ্যালারি ছিল ফুটবলপ্রেমী দর্শকে ঠাসা। শেখ রাসেল খেলার প্রায় পুরোটা সময় বল নিজেদের দখলে রাখলেও গোলের দেখা পায়নি দেশসেরা কোচ মারুফুল হকের তত্ত¡াবধানে থাকা দলটি। ভাগ্য বঞ্চনার শিকার দলটির দু’দুটি শট পোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে হয়তো ম্যাচের রঙই বদলে যেতো।
খেলার শুরুতেই শেখ রাসেলের স্ট্রাইকার রনির হেড বাইরে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় দলটি। এরপর ২১ মিনিটের মাথায় বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভূঁইয়ার আচমকা শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ২০ গজ দূর থেকে দর্শনীয় ওই কিকটি করেছিলেন জামাল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৩ মিনিটের মাথাতেও একই রকম সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করে শেখ রাসেল। ওই সময় রনির ক্রস থেকে বিদেশি খেলোয়াড় ফিকরুর শট গোল পোস্টের উপর দিয়ে চলে যায়।
টানা হারে আশাহত হয়েছেন দেশের ঘরোয়া ফুটবলের জায়ান্ট ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের দেশসেরা কোচ মারুফুল হক। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগে (বিপিএল) ব্যর্থতার জন্য তিনি নিজেকে এবং খেলোয়াড়দেরই দায়ী করেছেন। দুর্দান্ত খেলেও ম্যাচ জিততে না পারার কারণ সম্পর্কে দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কোচ মারুফুল হক বলেন, ‘এখন আর চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য খেলা সম্ভব না। সম্মানজনক একটি পজিশনের জন্যই এখন আমাদের লড়তে হবে। কারণ বাদ বাকী ১৮টি ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট নেয়া সম্ভব না।’ মারুফুল যোগ করেন, ‘আমরা পুরো খেলায় ডিফেন্সিভ ভুল করেছি বেশি। খেলোয়াড়দের মাঝে অভিজ্ঞতার অভাবই প্রকট হয়ে উঠেছে। বিদেশি খেলোয়াড় ফিকরুও পুরোপুরি ফিট না। এ ব্যর্থতার দায়ভার কোচ ও খেলোয়াড়দের। নাসির, জামাল ভূঁইয়া ছাড়া আমাদের দলে নিয়মিত পারফর্ম করা খেলোয়াড় নেই। অনেক খেলোয়াড়ই নিজেদের ছায়ার সঙ্গে লড়াই করছে। আমরা যে টিম গড়তে চেয়েছিলাম সেটি পারিনি। এখনকার খেলোয়াড়রা চ্যাম্পিয়ন ফাইট দেবার মতো না।’ পদত্যাগের বিষয়ে এক সংবাদকর্মীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগের কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার নেই।’
আর ফেনী সকার ক্লাবের নাইজেরিয়ান কোচ লাডি বাবা লোলা সন্তুষ্ট তার শিষ্যদের পারফরম্যান্সে। তার ভাষ্যে, ভালো খেলেই জিতেছেন তারা। এক সময় তিনি ঢাকার ঘরোয়া ফুটবলে মোহামেডানের হয়ে খেলেছেন। তিনি বলেন, ‘শেখ রাসেলকে হারিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। প্রথম থেকেই আমরা গোল করতে চেয়েছিলাম। গোটা ম্যাচে আমরা ভালো খেলেছি এবং প্রচুর কাউন্টার অ্যাটাক করেছি। আমরা অনেক চান্স পেয়েছিল। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরো গোল হতো।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন