বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

না.গঞ্জ নদীবন্দরে দুই বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭২ কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরে গেল দুই অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে প্রায় ৭২ কোটি টাকা। দুই বছর আগে যেখানে রাজস্ব আদায় ছিল ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। সেখানে গেল দুই অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা। বিআইডবিøউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন যোগদানের পর তার জোরালো প্রচেষ্টায় ও নানামুখী উদ্যোগে রাজস্ব আদায় বেড়েছে বলে জানা গেছে।
শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, মেঘনা এবং সুরমা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন নদী বন্দরের তীরভূমিতে ১৯টি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি গড়ে উঠেছে। এদের অধিকাংশ সিমেন্ট ফ্যাক্টরি নদীর তীরে নির্মিত জেটি দিয়ে নৌ-পথে পরিবাহিত সিমেন্টের কাঁচামাল লোড-আনলোড করে থাকে। এছাড়া নদী তীরবর্তী বিভিন্ন ওয়েল এন্ড সুগার মিল, পেপার মিল, ডকইয়ার্ডসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা রয়েছে। বন্দর আইন অনুযায়ী প্রতি টন মালামাল উঠা-নামার জন্যে নির্দিষ্ট হারে ল্যান্ডিং শিপিং চার্জ নৌ-বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে হয়।
বন্দর রাজস্বের এটি একটি বড় খাত। এছাড়া ফোরশোর ফি আদায়, লঞ্চঘাট ফি, টার্মিনাল ফি, মালামাল লোড আনলোডের ফি, গুদাম ভাড়া, তৈল কোম্পানির প্রæ পুট চার্জ আদায়ের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করা হয়ে থাকে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের আওতাধীন ৫৪টি লঞ্চ, ফেরিঘাট ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বেড়েছে।
জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৩৪ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ৭৮৭ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫২ কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৬৬৬ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫৩ কোটি ৬৭ লাখ ৮৩৬ টাকা। গেল দুই বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১০৬ কোটি ৬১ লাখ ৩৪ হাজার ৫০২ টাকা। অর্থাৎ দুই বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে ৭১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭১৫ টাকা। এদিকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির পাশাপাশি সেন্ট্রাল ফেরিঘাট, কাঁচপুর ও তারাব এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি শীতলক্ষ্যার তীরে বনায়নও করেছে বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দর। বন্দরের ময়মনসিংহ পট্টি (ঋষিপট্টি) এলাকার বিশাল এলাকায় দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছিল দখলদাররা।
ওই সকল অবৈধ স্থাপনাও স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের সহযোগিতায় বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক আরিফ উদ্দিনের নেতৃত্বে উচ্ছেদ করা হয়। পাশাপাশি টার্মিনাল ভবন অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সুলতানা কামাল সেতু থেকে টার্মিনাল ভবন পর্যন্ত খনন ও প্রকল্প প্রনয়ন করা হয়েছে। পাশাপাশি গেল দুই বছরে শীতলক্ষ্যা, ধলেশ^রীসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধেও সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন বিআইডবিøউটিএ’র কর্মকর্তারা।
বিআইডবিøউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফউদ্দিন জানান, তিনি ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ নারায়ণগঞ্জ নদী-বন্দরে যোগদান করেন। বিগত সময়ে মামলা-মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন অজুহাতে টেন্ডারবিহীন অবস্থায় ঘাটগুলো পরিচালিত হতো।
গেল ২ বছরে তারা ওইসব বাধা উপেক্ষা করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ইজারায় স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন। এছাড়া যেসকল প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো রাজস্ব দিত না তাদের থেকে রাজস্ব আদায়ে জোর পদক্ষেপ নিয়েছেন। যে কারণে গেল দুই বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে বহুগুণ। বর্ধিত রাজস্ব নৌপথ উন্নয়ন ও সংরক্ষণ এবং নৌ স্থাপনাদির উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন