পাকিস্তান দলটি এমনি। যে দল সম্পর্কে আগে থেকে কখনো কিছু বলা কঠিন। গতকাল ম্যাচের শেষ দিকে যখন ইংল্যান্ডের জয়ের পাল্লা ভারি হচ্ছিল তখনি জ্বলে উঠেন ওহাব রিয়াজ। তার শেষ ওভারে খেলায় ফিরে পাকিস্তান। এবং শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয় তারা। মঙ্গলবার ম্যানচেস্টারে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে চূড়ান্ত থ্রিলার জিতেছে সফরকারীরা। ৫ রানে জয় পেয়েছে দলটি।
তাতে ১-১ এ ড্র হলো সিরিজ। আর ইংল্যান্ড থেকে অন্তত একটা ম্যাচ জয়ের সুখ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরার ফুরসত মিলল বাবর আজমদের।
১৯১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ইংল্যান্ডের শেষ দুই বলে প্রয়োজন ছিল ১২ রান। টম কারেন ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ বলে সমীকরণ নিয়ে গেলেন ৬ রানে। ছক্কা হাঁকিয়ে তবে কি ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে যাবেন কারেন? এমন উত্তেজনার লগ্নে হারিস রউফের শেষ বলটা ব্যাটে বলেই করতে পারেননি কারেন। ফলে জয়ের আনন্দে মেতেছে পাকিস্তান।
এর আগে ৬৯ রানে ৪ উইকেট হারালেও মইন আলির ৩৩ বলে ৬১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ইংল্যান্ড। ৪টি করে চার ও ছক্কা হাঁকানো মইন ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ওয়াহাব রিয়াজের শিকার হয়ে ফেরেন।
ওয়াহাবের ওই ওভারটিকেই আসলে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলতে হবে। শেষ ২ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ওয়াহাব বল হাতে নিয়ে ২ উইকেট তুলে নিলেন। খরচা করলেন মাত্র ৩ রান।
শেষ ওভারে তাই ১৭ রানের কঠিন সমীকরণ দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের সামনে। দুই নতুন ব্যাটসম্যান কারেন ও আদিল রশিদ যা মেলাতে পারেননি। ৮ উইকেটে ১৮৫ রানে থেমে যায় দলটি।
মইনের ৬১ ছাড়াও ইংল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন টম ব্যান্টন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বাধিক ২টি করে উইকেট নেন ওয়াহাব রিয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।
এর আগে মোহাম্মদ হাফিজ ও হায়দার আলির ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেটে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ে পাকিস্তান। ৩৯ বছর বয়সী হাফিজ ৫২ বলে অপরাজিত ৮৬ রান করেন। হাঁকান ৪ চার ও ৬ ছক্কা। অভিষিক্ত হায়দার ৩৩ বলে ৫৪ রান করেন ৫ চার ও ২ ছক্কায়। ম্যাচ এবং সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই পেয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন