গণপরিবহণে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রাজধানীর কর্মদিবসের সকাল এবং বিকালের চিত্র যেন যুদ্ধ ক্ষেত্র। বাসের তুলনা যাত্রী সংখ্যা থাকে অনেক বেশি তাই বাসের হেলপার গেটে দাঁড়িয়ে বেশি ভাড়া না দিলে যাত্রী উঠতে বাধা দেয়। অন্যদিনে নারী ও শিশুদের অবস্থা তো আরও নাজুক। তাই নিরুপায় অনেকে বেশি ভাড়ায় উঠে পড়েনে বাসে। আর এই ১০ টাকার ভাড়া বিশ টাকা আর ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকাও নেয় তারা। প্রতিদিন সকালের চিত্র এটি। বিশেষ করে যাত্রাবাড়ী লাইনের গাড়ীগুলো এই প্রবণতা বেশি।
একটি বেসরকারি কর্মকর্তা এস এম মেহেদী হাসান যাত্রাবাড়িতে থাকেন৷ তার অফিস কারওয়ান বাজারে৷ অন্যান্য দিনের মতো মঙ্গলবারও তিনি গণপরিবহন ব্যবহার করে অফিসে যাতায়াত করেছেন৷
পথের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘‘ভাড়া আগের জায়গায় ফিরেছে সত্যি৷ কিন্তু বাসে দাঁড়িয়েও যাত্রী নেওয়া হয়েছে৷ ঠেলাঠেলি করে অফিসে এসেছি৷ স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিলো না৷ পথের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত বা পুলিশ কেউই খোঁজ নেয়নি৷’’
ইমরুল হাসান থাকেন আগারগাঁওয়ে৷ অফিস উত্তরায়৷ একটি বায়িং হাউজের এই কর্মকর্তা বলেন, আগে ভাড়া ছিলো ৩০ টাকা৷ ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির পর ভাড়া নিতো ৫০ টাকা৷ মঙ্গলবার অফিসে যাওয়ার সময় তাকে ৪০ টাকা দিতে হয়েছে৷ এ নিয়ে বাসের মধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে হেলপারের তর্কাতর্কি, এমনকি ধাক্কাধাক্কিও হয়েছে৷ ইমরুলের প্রশ্ন- দাঁড়িয়ে লোক নিলে ভাড়া বেশি হবে কেন?
পুরানো ভাড়ায় ফেরার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজধানীজুড়েই ছিলো এমন চিত্র৷ যাত্রীদের সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না৷ নতুন করে তারা কি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন কি-না? বাসচালক-হেলপার কেউ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছেন না৷ মেহেদী হাসানের কথায়, নতুন পরিস্থিতিতে ঝুঁকে বেড়েই গেল৷ ডয়চে ভেলে
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন