বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচন থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ফুটবল ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফসিএ) সভাপতি এবং বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিডিএফএ) মহাসচিব তরফদার মো. রুহুল আমিন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ঠিক আগেরদিন বুধবার এই ফুটবল সংগঠক জানান, আগামী ৩ অক্টোবর হতে যাওয়া বাফুফের নির্বাচনে তিনি কোনো পদেই প্রার্থী হবেন না। শুধু তাই নয়, দেশের ফুটবলের সব ধরণের কর্মকা- থেকেও আপাতত নিজেকে সরিয়ে রাখছেন তিনি।
বাফুফের নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তার আগেই বুধবার দিনভর ফুটবলাঙ্গন মুখরিত ছিল তরফদার রুহুল আমিন ইস্যুতে। কয়েকদিন ধরে ভোটের বাজারের ঠান্ডা বাতাস আভাস দিচ্ছিল নতুন কোনো খবর আসতে পারে। বাফুফে নির্বাচনকে উপলক্ষ্য করে মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে রুহুল আমিন ও তার সমমনাদের একটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। এতেই আন্দাজ করা হচ্ছিলো কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। হয়তো নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন তরফদার রুহুল আমিন। অবশেষে সেই আন্দাজই সত্য প্রমাণিত হলো। জানা গেল বাফুফে নির্বাচনে কোনো পদেই প্রার্থী হবেন না বিএফসিএ এবং বিডিডিএফএ’র এই কর্তা। এ প্রসঙ্গে বুধবার মুঠোফোনে তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি ফুটবলের সকল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই বাফুফের নির্বাচনে প্রার্থী হবো না। আপাতত আমি বাফুফের নির্বাচনসহ ফুটবলের কোনো কার্যক্রমেই থাকছি না।’ তিনি যোগ করেন,‘এসব করতে গিয়ে আমি ব্যবসা-বাণিজ্যে সময় দিতে পারিনি। অনেক সমস্যা হয়েছে। যে কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। আমি এখন থেকে ব্যবসায় মনোনিবেশ করব।’
রুহুল আমিন ঘরোয়া ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দু’টি ক্লাবের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। যার একটি নিজেই প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি যদি ফুটবলের কার্যক্রম না থাকেন তাহলে ক্লাবগুলোর কি হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,‘আসলে আপাতত আমি বাফুফের নির্বাচন ও ফুটবলের অন্যান্য সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। ক্লাবের বিষয়টা পরে দেখা যাবে।’ এদিকে জানা গেছে, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চিঠি দিয়েছে তরফদার মো. রুহুল আমিনকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন