প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তিনি আরো বলেন, বিদেশ ফেরত কর্মীদের আর্থ সামাজিকভাবে পুনর্বাসন ও পুনঃএকত্রীকরণের ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। যেমন কর্মী কবে বিদেশে গিয়েছিলেন, কি ধরনের চাকরি করেছেন, কতদিনের জন্য এসেছেন, দেশে ফিরে কী ধরনের কাজ করতে চান প্রভৃতি। তাই বিদেশ প্রত্যাগত কর্মী বা রিটার্নিদের সরকারের বিভিন্ন সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে তাদের তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য দ্রæততম সময়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের সিস্টেমে তথ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগ) কে আহবায়ক করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এবং পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিদেশ প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের একটি সমন্বিত ডাটাবেজ প্রণয়নের লক্ষ্যে করণীয় বিষয়ে জুম অনলাইনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রবাসী মন্ত্রী ইমরান আহমদ সভাপতিত্বের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সঞ্চালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. কামাল হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খলিলুর রহমান, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বর্হিরাগমন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ আজহারুল হক, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ূব চৌধুরী, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) মীর শহিদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিজি মো. নজরুল ইসলাম ও মো. তরিকুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন