শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

জুডোতেও স্বর্ণ জেতে আর্জেন্টিনা

প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রতিবেশি ব্রাজিল ফুটবলে আর্জেন্টিনার চিরশত্রæ। সেই শত্রæর দেশে এসে অলিম্পিকে ফুটবলে রং ছড়াতে পারছে না আর্জেন্টিনা। হেরেছে পর্তুগালের কাছে ০-২ গোলে। অথচ, সেই ব্রাজিলের রিও থেকেই আর্জেন্টিনার ৩০ বছর বয়সী এব নারী জুডোকারের সাফল্যে স্বর্ণ জয়ের আনন্দে ভাসল আর্জেন্টিনা। তাও আবার অলিম্পিকের স্বাগতিক ব্রাজিলের আগেই জাতীয় অলিম্পিক পার্কে বেজে উঠল আর্জেন্টিনার জাতীয় সঙ্গীত!
আর্জেন্টিনার অলিম্পিক ইতিহাসে স্বর্ণজয়ের সমষ্টি অতীতে ১৯টি। তবে জুডোতে স্বর্ণজয়ের অতীত ছিল না ইতোপূর্বে। সেই ইতিহাসই রচনা করেছেন পাউলা পেরেতো। পেশায় চিকিৎসক পাউলা পেরেতা। ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে ফেভারিট ছিলেন না তিনি, তৃতীয় শীর্ষ বাছাই হিসেবে নেমেছিলেন ইভেন্টে। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী পাউলো হতাশ করেছেন ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে, ৫ম হয়ে শেষ করেছেন ওই আসর। তবে গত বছরে কাজাখস্তানে জুডো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতে এসেছেন আলোচনায়। ওই সাফল্য থেকেই পেয়েছেন অনুপ্রেরণা।
প্রচÐ ক্ষীপ্ত গতি দিয়েই গত পরশু প্রতিপক্ষদের করেছেন কাবু। রাশিয়ার দোলগোভা, হাঙ্গেরীর ইভা স্রেনোভিকি এবং জাপানের আমি কোনদোকে হারিয়ে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন দ. কোরিয়ার বোকিওন জিওনের। লড়াইয়ের মাঝপথে দ. কোরিয় প্রতিদ্ব›দ্বী মুখে খামচি দিয়ে আঙুলের নখ বসিয়ে দিলেও পাননি ভয়, বরং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন, আছাড় দিয়ে ফেলে দিয়েছেন কোরীয় প্রতিপক্ষকে। লড়াইয়ের পুরোটা সময় আর্জেন্টিনা পতাকা হাতে সমর্থন দিচ্ছিলেন যারা, স্বর্ণ জয়ের আনন্দে লড়াই মঞ্চ থেকে লাফিয়ে তাদেরকেই ধরেছেন জড়িয়ে এই আর্জেন্টাইন। ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিকে অংশ নিয়ে দেশের হয়ে জুডোতে প্রথম স্বর্ণ জয়ের আনন্দে রীতিমতো আত্মহারা পাউলো পেরেতোÑ ‘আমি খুব খুশি। বিশ্বাস করতে পারছি না। যে সব দর্শক আমাকে এখানে দেখতে এসেছেন, তাদের উপস্থিতিই আমাকে শক্তি জুগিয়েছে।’
এদিকে রিও অলিম্পিক থেকে নারী বিভাগে ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতে প্রথম স্বর্ণ জয়ে কোটিপতি হয়ে গেছেন থাই নারী ভারোত্তোলক সোপিতা থানাসান। বক্সার বাবার ২১ বছর বয়সী কন্যা ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে ভারোত্তোলন করবেন বলে মনস্থির করেছিলেন। ২০১৪ সালে বিশ্ব জুনিয়র ভারোত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপে ২১০ কেজি ওজন তুলে রৌপ্য পদক জয়ে এমনটাই স্থির করেছিলেন। তবে ৫৩ কেজি ওজন শ্রেণী নয়, শরীরের ওজন কমিয়ে ৪৮ কেজি ওজন শ্রেণীতেই পেলেন স্বর্ণ। স্নাচে ৯২ কেজি এবং ক্লিন এন্ড জার্কে তুলেছেন তিনি ১০৮ কেজি। রিও অলিম্পিক গেমস থেকে থাইল্যান্ডের হয়ে প্রথম স্বর্ণ জয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সোপিতার জন্য ১ কোটি ২০ লাখ বাথ (থাই মুদ্রা) প্রাইজমানির ঘোষণা এসেছে।
অলিম্পিকে নারী ভারোত্তলন থেকে এটাই প্রথম কোন থাই নারীর প্রথম স্বর্ণজয় নয়। এর আগেও তিন থাই নারীর হাত ধরে অলিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের অতীত আছে থাইল্যান্ডের। তবে রিও অলিম্পিক গেমসে থাইল্যান্ডের প্রথম স্বর্ণ জয়ে আনন্দটা একটু বেশিই এই থাই নারী ভারোত্তোলকের। ৮৮ বছর বয়সে বেঁচে আছেন থাই রাজা, হুইল চেয়ার ছাড়া এদিক-ওদিক বেরুনোর উপায় নেই। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ এই রাজার জন্য স্বর্ণপদক উৎসর্গ করেছেন সোপিতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন