দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় ৪ জন কমলেও বরিশাল ও পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত এ অঞ্চলে কোন মৃত্যু সংবাদ না থাকলেও সুস্থ রোগীর সংখ্যাও হ্রাস পেয়েছে। এমনকি বরগুনা জেলায় নুতন করে কেউ সুস্থ হয়ে ওঠেনি শুক্রবার সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায়। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবনুযায়ী এসময়ে নতুন ৬২ জন সহ দক্ষিণাঞ্চলে মোট ৬ হাজার ৫৬৩ জন কোভিড-১৯ রোগী সুুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর সরকারী হিসেবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৯৪১। যার মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায়ই আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২০। আর গত ৪৮ ঘন্টায় করোনা সংক্রমনে দক্ষিণাঞ্চলে কোন মৃত্যু না হলেও এ পর্যন্ত মোট মারা গেছেন ১৬৬ জন।
শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮২ জনের নমুনা পরিক্ষায় করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে মোট ২৫ জনের। যার মধ্যে নতুন রোগীর সংখ্যা ২১। অবশিষ্ট ৪ জন পুরোনা রোগী। অপরদিকে ভোলা জেলা হাসপাতালে ৪৭ জনের নমুনা পরিক্ষায় ১ জনের দেহে করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে আগের দিনের সম সংখ্যক ২৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিল। এসময়ে হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগের দিনের চেয়ে দুজন বেশী, ৪২ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন ছিলেন আরো ৭জন।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের চেয়ে ৪ জন কমলেও বরিশালে সংখ্যাটা আগের দিনের ১০ থেকে ১৩ জনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এপর্যন্ত ৩,৩১৬ জন আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছেন ৬৬ জন। পিরোজপুরে আগের দিন নতুন কোন আক্রান্ত না থাকলেও শুক্রবার সকালে নতুন ৩ জনের করেনা ভাইরাস সনাক্তের খবর মিলেছে। জেলাটিতে এপর্যন্ত ১,০২১ জন আক্রান্তের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অপরদিকে পটুয়াখালী, ভোলা ও ঝালকাঠীতে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এসময়ে পটুয়াখালীতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩ থেকে একজনে এবং ভোলাতেও ২ থেকে ১জনে হ্রাস পেয়েছে। জেলা দুটিতে এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা যথাক্রমে ১,৩৫২ ও ৩৭ এবং ৬৯৩ ও ৬ জন। আর ঝালকাঠীতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৫ থেকে দুজনে হ্রাস পেয়েছে। তবে জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৬৭৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ঝালকাঠীতে মৃত্যু হার যথেষ্ঠ বেশী এখনো। বরগুনাতে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোন আক্রান্ত ও সুস্থতার খবর না থাকলেও জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৮৮২ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন