চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে ব্রেক্সিট চুক্তি খেলাপ করে উত্তর আয়ারল্যান্ড সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন প্রণয়ন করতে বদ্ধপরিকর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে তার এই সিদ্ধান্ত ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর। তারা এমপিদের প্রতি পার্লামেন্টে জনসনের এই উদ্যোগকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জনসন জানিয়েছেন, আইরিস সাগরে কাস্টমস বর্ডার আরোপ করার হুমকি দিচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এর ফলে বৃটেনের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হবে উত্তর আয়ারল্যান্ড। কিন্তু, এই আইনের মাধ্যমে বৃটিশ সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন টনি ব্লেয়ার ও স্যার জন মেজর। সোমবার বৃটিশ পার্লামেন্টের হাউজ অব কমন্সে বিতর্কে তোলার কথা ইন্টারনাল মার্কেট বিল। যুক্তরাজ্য ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যে যে প্রত্যাহার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে এই বিলটি তার বিরুদ্ধে যাবে। ব্রিটিশ সরকার এই আইনটি নিয়ে সিনিয়র টোরি নেতাদের তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইনী পদক্ষেপের হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে।
ব্রেক্সিট উইড্রয়াল এগ্রিমেন্টে আয়ারল্যান্ডে কঠোর সীমান্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার বিরুদ্ধে চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু নর্দান আয়ারল্যান্ড প্রোটোকল তার বিরুদ্ধে যায়। বিলটি যদি আইনে পরিণত হয় তাহলে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীরা বৃটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে পণ্য চলাচল সংক্রান্ত আইন নবায়ন অথবা এড়িয়ে যেতে পারবেন। এ নিয়ে দ্য সানডে টাইমসে লিখেছেন স্যার জন মেজর ও টনি ব্লেয়ার। তাদের প্রথমজন কনজারভেটিভ দলের সাবেক নেতা। দ্বিতীয় জন লেবার পার্টির। তারা বলেছেন, ‘উত্তর আয়ারল্যান্ড নিয়ে সরকার যে কাজ করছে তা দায়িত্বহীন। নীতিগতভাবে ভুল ও বিপদজনক চর্চা।’ তারা আরও বলেছেন, ‘এ বিষয়টি আয়ারল্যান্ডের ওপর প্রভাবের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। ফলে এতে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়া ও বাণিজ্যের জন্য একটি সমঝোতা চুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের দেশে মর্যাদার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’ এই সাবেক দুই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, চুক্তির বাধ্যবাধতার প্রতি সম্মান দেখানো আভ্যন্তরীণ আইনের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। তাই তারা বিলটিকে পার্লামেন্টে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়েছেন। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন