আরও ৫ দিন সময় পেল জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
গ্যাস পাইপলাইনে থাকা ছয়টি ছিদ্র দিয়ে বের হওয়া মিথেন গ্যাসে নারায়ণগঞ্জে মসজিদের ১৭ শতাংশ ভরে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটেছে। বৈদ্যুতিক স্পার্কের কারণে গ্যাসে আগুন ধরে যায়। এই বিস্ফোরণে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১ জন এবং আরও ৫জন গুরুতর দগ্ধ হয়ে ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের তদন্ত কমিটির তদন্তে এসব বিষয় উঠে এসেছে। তদন্ত কমিটি এ সপ্তাহেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে। অন্যদিকে বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি গতকালও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় আবারো সাতদিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৫দিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, গ্যাস লিক হওয়ায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। দুর্ঘটনার পর আমরা দেখতে পাই, মসজিদের প্রায় ১৭ শতাংশ বাতাস মিথেন গ্যাসে ভরা ছিল। তদন্ত কমিটি আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেবে এবং এখন তারা প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় গত ৪ সেপ্টেম্বর।
তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মিথেন গ্যাস বৈদ্যুতিক স্পার্কের সংস্পর্শে এসে এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। এসির কারণে বিস্ফোরণ হয়নি। তদন্ত কমিটি মসজিদের ভিতরে এবং মসজিদের গেটে গ্যাসের বুদবুদ তৈরি হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। তিতাস গ্যাস শ্রমিকরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় খনন করে সরবরাহ পাইপে ৬টি ছিদ্র খুঁজে পায়। বিস্ফোরণের ২০ মিনিটের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানে মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছেন বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।আরও ৫দিন সময় পেল জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে : বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণ ও হতাহতের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের গঠিত কমিটি গতকালও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি। দ্বিতীয় দফায় আবারো সাতদিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে পাঁচদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সারাদেশ সুষ্ঠু তদন্তের আশায় রয়েছে। এছাড়া এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের প্রয়োজনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববির নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি সাতদিনের সময়ের আবেদন করেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, তাই সবদিক বিবেচনা করেই একটি বস্তুনিষ্ঠ পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করবে। এ কারণে তদন্ত কমিটিকে আরো পাঁচ দিনের সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে আশা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক। এই নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আরো পাঁচদিন সময় বাড়ানো হলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন