ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফের মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। গতকাল সকাল পৌনে ১১টায় পিলখানা বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এছাড়া অস্ত্র ও মাদক পাচার বন্ধের বিষয়টিও প্রাধান্য পাবে জানা গেছে।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক কর্মকর্তা বলেন, সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ বছর আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ৩৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বৈঠকে অবৈধ অস্ত্র, মাদক এবং মানবপাচার বন্ধের বিষয়েও আলোচনা হবে। উভয় দেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরও উন্নয়নের জন্য বৈঠকে আলোচনা হবে।
বিজিবির অপারেশন ডিরেক্টর লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এছাড়া উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থের পাশাপাশি দুই সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
এদিকে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় সম্মেলনের যৌথ আলোচনার দলিল স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে সীমান্ত সম্মেলন শেষ হবে। সম্মেলন শেষে একই দিন বিএসএফ প্রতিনিধিদল ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে। এর আগে সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক রাকেশ আস্তানার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল গত বুধবার পিলখানা বিজিবি সদর দফতরে এসে পৌঁছান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন