তিনদিনে ধাপে ধাপে আদালতের নির্দেশে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গণধর্ষন মামলার ৮ আসামী। কিভাবে রিমান্ডে সময় পার করছেন এ নিয়ে ব্যাপক কৌতুল মানুষের মনে। রিমান্ডে নেওয়ার প্রথম দিন থেকে নানা উশৃঙ্খল আচরণ করছেন আসামিরা। অপ্রীতিকর সকল ঘটনা এড়াতে প্রথম দিন থেকেই তাদের সবাইকে রাখা হয়েছে আলাদাভাবে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দু’হাত পেছন দিকে হ্যান্ডকাফ দিয়ে আটকে এবং চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। তারপরও নিজেদের নির্দোষ দাবি করছে তারা। পাশাপাশি দোষ চাপাচ্ছে একে অন্যের উপর। ওদের মধ্যে কয়েকজন আবার মাদকাসক্ত। ঘুমের ওষুধ না দিলে তাদের ঘুম আসে না এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এ পর্যন্ত আত্মীয়-স্বজন বা দলীয় নেতাকর্মী কেউ তাদের কোনো খোঁজ নেননি, এমনকি কেউ একবেলা খাবারও দিয়ে যাননি থানায়। পুলিশের পক্ষ থেকেই তাদের নিয়মিত খাবার সংগ্রহ করা হচ্ছে। তবে পুলিশের কাছে ‘উন্নতমানের’ খাবারের আবদারও করে তারা। পুলিশের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ছাত্রাবাসে সেদিন ঘটানো ধর্ষণকাণ্ডে অজ্ঞাত আর কে কে জড়িত, ধর্ষণের পর তাদের রক্ষা করতে কারা প্রশ্রয় দিয়েছিলো, এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে কি-না- রিমান্ডে এসব বিষয়ে আসামিদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যারাতে এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গণধর্ষণের শিকার হন এক বালিকা বধূ। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী মাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলা করেন শাহপরান থানায়। মামলায় ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ৩ জনকে করা হয় আসামি। চাঞ্চল্যকর এ মামলায় এজাহারনামীয় সব আসামি সহ সিলেট রেঞ্জ পুলিশ ও র্যাব-৯ এর হাতে গ্রেফতার আটজনের প্রত্যেককেই পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ও রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হচ্ছে- সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন, তারেক আহমদ, আইনুল ও মাহফুজুর রহমান মাছুম। গত সোম, মঙ্গল ও বুধবার এ তিনদিনে ৮ আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকের ৫দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন