গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় পুলিশের সামনের থেকে ডেকে নিয়ে মামলার বাদীকে মারপিট করা হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার বাদি কৃষ্ণ বাড়ৈ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন- আমার মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই করিম স্যার আজ সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আমাকে মোবাইল ফোনে পস্চিম তালপুকুরিয়া কালির বাজারে ডেকে এনে বলেন যে তুই সাংবাদিক এনেছিস কেন,এসময় তুষার মধু ও সাংবাদিক উপস্তিতি দেখে কৃষ্ণ বাড়ৈর উপর ক্ষিপ্ত হয়,এর পর দারোগার সামনের থেকে দিপক বালা,রমেশ বাড়ৈ,বিপ্লব দেউরি,মৃত্যুন হাজরা ও রিপন ঘড়ামি আমাকে ডেকে তালপুকুরিয়া পঞ্চপল্লি উচ্চবিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে মারপিট করে শরিরের বিভিন্ন স্হানে জখম করে।আমি আহত অবস্হায় এসে ঘটনাটি দারোগাকে জানালে তিনি নিরব থাকেন।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই করিম বলেন- আমার সামনেই ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছিল,তখন বিষয়টি নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব ছিলনা,আজ আমি সেই মামলা তদন্তে এসেছিলাম কিন্তু আমার সামনে তাকে মারপিট করে নাই,মারপিট করার কথা শুনেছি এঘটনায় বাদি থানায় অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্হা নিব।
এর আগে গত ২৬ মে তালপুকুরিয়া গ্রামের মহেন্দ্রনাথ বাড়ৈর ছেলে মনমথ বাড়ৈ হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে,তখন হত্যা মামলার বাদি পক্ষের লোকজন তার দুইটি ঘর ভাংচুর করে নগত,টাকা স্বর্ন অলংকার সহ পুকুরের মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এঘটার পর হত্যা মামলার আসামি মনমথর ভাই কৃষ্ণ বাড়ৈ বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডুসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সিআর ১৯১/২০ নং একটি লুটপাটের মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন কোটালীপাড়া থানাকে।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শেখ লুৎফর রহমান - বলেন পুলিশের সামনে কোন মারপিটের ঘটনা ঘটেনি,তবে মারপিটের কথা শুনেছি এঘটনায় অভিযোগ করা হলে ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন