শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এবার কঠোর হচ্ছেন সালাউদ্দিন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২০, ৯:১৫ পিএম

বাফুফের চারবারের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছে দৈনিক ইনকিলাব ক্রীড়া পরিবার।


খেলোয়াড় হিসেবে নিজ ক্যারিয়ার শেষ করার পর ফুটবলকে দূরে ঠেলে দেননি, খেলা ছেড়ে হয়েছেন প্রিয় ক্লাব ঢাকা আবাহনী ও জাতীয় দলের ম্যানেজার এবং কোচ। পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কার্যনির্বাহী কমিটিতে জায়গা করে নেন সহ-সভাপতি হিসেবে। সাংগঠনিক দক্ষতায় ২০০৮ সালে প্রথমবার বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে পার করলেন একযুগ। এবার টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন বাফুফের সভাপতি। তিনি কাজী মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তী। ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাফুফের এবারের নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায়কে ৫৪ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়ের মালা গলায় পরলেন সালাউদ্দিন। নির্বাচনে জিতে পরের দিনই আসলেন মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে। রোববার নিজ কার্যালয়ে এসেই উপস্থিত সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ক্লাব কর্মকতাদের মিষ্টিমুখ করালেন বাফুফের চারবারের সভাপতি। গ্রহণ করলেন সবার ফুলেল শুভেচ্ছা। পরে মিডিয়ার মুখোমুখী হয়ে জানালেন, এবার কঠোর হবেন তিনি। কোন কিছুতেই ছাড় দেবেন না। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জাবাব দিলেন একে একে।

 

সালাউদ্দিন বলেন,‘সামনের চার বছরের কাজ কমিটির সবার সঙ্গে আলোচনা করেই ঠিক করবো। আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ শুরু করবো। তবে এখনই তা নিয়ে কথা বলার সময় হয়নি।’

 

তিনি আরো বলেন,‘আমার প্রথম কাজই হবে ডিসিপ্লিনের বিষয়ে কঠোর হওয়া। যে লিগগুলো আছে, সেগুলো অবশ্যই নির্দিষ্ট তারিখে হতে হবে। দিনক্ষণ যা নির্ধারণ করে দেয়া হবে তা আর পরিবর্তন হবে না। ১২ বছর হয়ে গেছে, একটা জায়গায় এসেছি। এখন এগিয়ে নিতে হলে ফুটবল ফেডারেশন ও ক্লাবগুলোর এই ডিসিপ্লিনটা থাকতেই হবে।’

 

ডিসিপ্লিনের অংশ হিসেবেই জেলা লিগগুলো আয়োজন যাতে নিয়মিত হয় তার জন্য কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণাও দেন সালাউদ্দিন। তার কথায়,‘জেলা লিগগুলো ওই জেলার সংগঠকদের করার কথা; কিন্তু সেটা আপনারা আমার ওপর চাপিয়ে দেন। জেলা লিগ করাতো আমার দায়িত্ব নয়। যে জেলায় লিগ হয় না সেই জেলার সভাপতিকে কেন জিজ্ঞেস করেন না। বাংলাদেশে লিগ না হলে তো তার দায় ফিফা সভাপতির হবে না। সেটা আমার দায়িত্ব। জেলার ফুটবলের গুরুত্ব তো আছেই। তাদের প্রতি নজরদারি বাড়াতে গেলে দেখতে হবে আমার কতটুকু অধিকার আছে। আমরা এবার একটা ফর্মুলা করবো, যা ফিফা এবং এএফসি করেছে।’

এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন যোগ করেন,‘ জেলায় পরপর দুই বছর লিগ না হলে কাউন্সিলরশিপ হারাবে। ফিফা এ রকম হলে তো নিষিদ্ধ করে দেয়। এই নিয়মগুলো যদি আমি প্রথম থেকেই শুরু করতাম, তখন আপনারাই আমাকে মারতেন। এখন তো একটা ফরম্যাটে এসেছে, এখন আমার কিছু কথা জেলাগুলোকে শুনতেই হবে।’

ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে বাফুফের সদ্য নির্বাচিত ও সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) তিনবারের সভাপতি বলেন, ‘সবসময়ই বলছি এটা আমাদের কাজ নয়। তারপরও এ বছর থেকে কাজ করবো। জেলায় যে তিনটি টুর্নামেন্টের কথা বলেছি বঙ্গবন্ধু সিনিয়র জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-১৮ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও শেখ রাসেল অনূর্ধ্ব-১২ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ- এগুলো হলে জেলার ফুটবল চাঙ্গা হবে।’

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন বাফুফের প্রথমবার নির্বাচিত সহ-সভাপতি, তমা গ্রুপের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন