বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাবাকে মারধর : তুলে নিয়ে যাওয়া সেই নারী উদ্ধার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২৭ এএম

মেয়েকে তুলে নেওয়ার ঘটনাটির পিতাকে পিটিয়ে আহত করে বখাটে, সেই রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর স্থানীয় পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, মেয়ের বাবার হাতে, পিঠে ও পায়ে রডের আঘাতের চিহ্ন।

এদিকে ছয়দিন পর সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া নারীকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই নারীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে মেয়ে কোথায় জানতে চাওয়ায় গতকাল সোমবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই নারীর বৃদ্ধ বাবা আনোয়ার আলীকে ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে একই উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গুতগাঁও গ্রামের আংগুর মিয়ার ছেলে শামীম ও তার লোকজন।

আনোয়ার আলী জানান, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার রাজনগর গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে গৃহপরিচারীকার কাজ করতো তার মেয়ে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় শামীম। তারপর থেকে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। সাত বছর আগে নবীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাজ গ্রামের কবির মিয়ার সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। গত দু’বছর হলো কবির মিয়া তার মেয়েকে তালাক দিয়েছে। এরপর থেকে ১ ছেলে নিয়ে মেয়ে বাবার বাড়িতে অবস্থান করে। তখন থেকে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো শামীম। সোমবার সন্ধ্যায় শামীমের কাছে মেয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আমাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

নির্যাতনের কথা স্বীকার করে আনোয়ার আলী বলেন, আলীগঞ্জ এলাকার বাসা থেকে তাকে গুতগাঁও গ্রামের শামীম, লিটন, লিয়াকত ও আক্কাইসহ আরও দুজন ধরে নিয়ে গিয়ে রড দিয়ে পিটিয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনাটি তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তার মেয়ে কোথায় আছে তিনি জানেন না।

পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মখলুছ মিয়া বলেন, এ ঘটনাটি তাকে কেউ জানায়নি।

জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত মো. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

জগন্নাথপুর থানার এসআই আরিফ রেজা জানান, শামীম ও তার লোকজনদের ধরতে রাত থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। তার বাড়ি ঘেরাও করে তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, শামীম এলাকায় বখাটে, সন্ত্রাসী ও মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। থানায় বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে তার নামে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Jack Ali ৬ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৫ এএম says : 0
Q' Muslim wake - we are not safe from our Government and their muscle man.. If we don't not wake up they will every day snatch our mother sister and rape them and also they will loot our property.. We must fight for our right and establish the Law of Allah then we will be able to live in peace with human dignity.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন