শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

বিপর্যয়ে উজ্জ্বল ইয়াসির-অঙ্কন

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

শুরুতে টপ অর্ডারের একের পর এক বাজে শটের মহড়ায় চরম বিপর্যয়ে পড়েছিল তামিম একাদশ। ১৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। ওই অবস্থা থেকে প্রথমবার পেসিডেন্ট’স কাপে খেলতে নেমে দলকে টেনে নেন ইয়াসির আলি চৌধুরী রাব্বি আর মাইদুল ইসলাম অঙ্কন। একশোর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত ২২১ রান করেছে তারা। ইয়াসিরের ব্যাট থেকে আসে ৮১ বলে ৬২ রান, ১১০ বলে ৫৭ করেছেন অঙ্কন। তবে তার আগে বল হাতে ঝলক দেখিয়েছে রুবেল হোসেন। দুর্দান্ত বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা ধরে আগের দুই ম্যাচে ৩টি করে উইকেটের পর এবার এই পেসারের শিকার ৩৪ রানে ৪টি।
বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপের ফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে ম্যাচটা জিততেই হতো মাহমুদউল্লাহ একাদশকে। অন্য দিনের তুলনায় গতকাল উইকেট ছিল ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। টস জিতে তাই ব্যাটিংয়ে নামেন তামিমরা। টুর্নামেন্টের ৫ ম্যাচে প্রথমবার টস জিতে ব্যাটিং নিল কোনো দল। কিন্তু একের পর এক আত্মঘাতী শটে সেই সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন তারা। একেকজন যেন প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন, কে কতটা বাজে শট খেলতে পারেন।
দুই তামিমের জুটি আগের দুই ম্যাচে টিকতে পারেনি দুই ওভারও। এই ম্যাচে দুই ওভার টিকে তৃতীয় ওভারেই শেষ। রুবেলের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলে তানজিদ তামিম তুলে দেন স্লিপে নাঈম শেখের হাতে। তামিম ইকবাল যে বলে আউট হলেন, আবু হায়দারের সেই ডেলিভারি না খেললে হয়তো ওয়াইড হতো। অনেক কষ্টে বলে ব্যাট ছুঁইয়ে তামিম ক্যাচ দেন পয়েন্টে। এনামুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনও একই পথের পথিক। রুবেলের বেশ বাইরের বল শর্ট কাভারে তুলে দেন এনামুল, কিপারের গ্লাভসে মিঠুন। নবম ওভার তখন চলছে, স্কোরবোর্ডে রান মোটে ১৭, উইকেট নেই ৪টি।
সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে বড় জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় তামিমের দল। কিপার ব্যাটসম্যান অঙ্কনের সঙ্গে জুটিতে ১১১ রান আনেন ইয়াসির। দুজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ইয়াসির ৬২ রানে আউট হয়ে ভাঙ্গে এই জুটি। তার আগে বেশ সাবলীল ইনিংস খেলেছেন ইয়াসির। ইনসাইড আউটে বাউন্ডারি পেয়েছেন, মাহমুদউল্লাহকে স্লগ সুইপে ছক্কায় উড়িয়েছেন। পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলেছেন অনড্রাইভ। ৫ চার ১ ছক্কার ইনিংসটা হতে পারত আরও বড়। অঙ্কনের ডাকে সাড়া দিয়ে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে পৌঁছাতে পারেননি স্ট্রাইকিং প্রান্তে। কিছুটা মন্থর খেলা অঙ্কনও পরে বেশিক্ষণ টেকেননি, ফিফটি স্পর্শ করেন ১০৩ বলে। রুবেলকে উড়াতে গিয়ে সহজ ক্যাচে ৫৭ রানে বিদায় হয় তার।
বাকি পথে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩৯ বলে ৪০ করেন মোসাদ্দেক। সাইফুদ্দিন ২৯ বলে করেন ৩৮ রান। রুবেলের ৪ উইকেটই অবশ্য ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার। তবে শেষ দুই ওভার বাদ দিলে তার বোলিং ছিল দুর্দান্ত। ম্যাচের প্রথম বলে লেগ স্টাম্পে বল করে চার খেয়েছিলেন, তারপরও প্রথম স্পেল ছিল ৫-৩-৫-৩!
সংক্ষিপ্ত স্কোর
তামিম একাদশ : ৫০ ওভারে ২২১/৮ (তামিম ৯, তানজিদ ১, বিজয় ১, ইয়াসির ৬২, মিঠুন ১, মাইদুল ৫৭, মোসাদ্দেক ৪০, সাইফুদ্দিন ৩৮, শেখ মেহেদী ১, তাইজুল ০; রুবেল ৪/৩৪, রনি ১/৪০, ইবাদত ২/৬০, রাকিবুল ০/৩২, মিরাজ ০/৩০ , মাহমুদউল্লাহ ০/২৩)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন